× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ইলিশ কেনাবেচায় জমজমাট কুয়াকাটার আড়তগুলো

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৬:১২ পিএম

দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মাছের মোকাম হিসেবে পরিচিত মহিপুর ও আলীপুরের আড়তগুলোতে ইলিশের কেনাবেচা জমে উঠেছে। প্রবা ফটো

দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মাছের মোকাম হিসেবে পরিচিত মহিপুর ও আলীপুরের আড়তগুলোতে ইলিশের কেনাবেচা জমে উঠেছে। প্রবা ফটো

কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে গত এক সপ্তাহে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে পটুয়াখালী উপকূলের কুয়াকাটা, খালগোড়া এলাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মাছের মোকাম হিসেবে পরিচিত মহিপুর ও আলীপুরের আড়তগুলোতে ইলিশের কেনাবেচা জমে উঠেছে। 

আলিপুর ও মহিপুরের বড় ফিশিং ট্রলারগুলো লাখ লাখ টাকার ইলিশ নিয়ে আড়তে ফিরছে। কিন্তু কুয়াকাটার ছোট ট্রলার, ফাইবার বোট, ইঞ্জিন বোট নিয়ে সমুদ্রে গেলেও জেলেদের জালে মিলছে না ইলিশ। তবে বড় ট্রলার ও বোটে ইলিশের দেখা মিলছে শুধু গভীর সমুদ্রে। 

দীর্ঘ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরতে যাওয়ার অনুমতি পান জেলেরা। কিন্তু সাগরে নামতে না নামতেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পড়ে বাধ্য হয়ে তাদের তীরে ফিরে আসতে হয়েছে। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে আসার পর জেলেরা আবার সাগরে ফিরে যান। তবে এবার ইলিশ বোঝাই ট্রলার নিয়ে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা। দীর্ঘদিন পর ইলিশের দেখা পেয়ে খুশি জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। 

কুয়াকাটা উপকূলের আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের বিভিন্ন আড়তে স্থানীয় জেলেদের মাছ ছাড়াও চট্টগ্রাম, ভোলা, বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার এলাকার গভীর সমুদ্রগামী অনেক ট্রলারে ইলিশ মাছ এসেছে। ইলিশ বোঝাই ট্রলারগুলো নোঙর করায় সরগরম হয়ে উঠেছে আড়তগুলো। বিভিন্ন সাইজের ইলিশের কেনাবেচা ও পরিবহন শ্রমিকদের হাঁকডাকে কর্মমুখর চাঞ্চল্য ফিরেছে বন্দরে।

মৎস্য আড়ত সূত্রে জানা গেছে, বড় সাইজের এক কেজি বা এক কেজির অধিক প্রতিমণ ইলিশ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৫৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া মাঝারি সাইজের ইলিশ ৫০০-৭০০ গ্রাম প্রতিমণ ইলিশ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ হাজার টাকা।

সমুদ্র থেকে ফিরে আসা এফবি মরিয়ম ট্রলারের মাঝি আব্দুল মান্নান বলেন, ‘৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পরপরই আবহাওয়া খারাপ হইয়া যায়। এতে অনেক জেলে সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারে নাই। আবহাওয়া ভালো হওয়ার পর জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরায় কেউ ১০ মণ, কেউ ১২ মণ ইলিশ পাচ্ছে। সামনের দিনে মাছ আরও বেশি পড়বে বলে মনে হচ্ছে।’

কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘গত কয়েক দিন যাবৎ গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারের ট্রলারগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ফিরছে। তবে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপকূলবর্তী জেলেরা। এর প্রধান কারণ হলো আন্ধারমানিক ও রামনাবাদ চ্যানেলসংলগ্ন বেশ কয়েকটি ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে, যে কারণে ইলিশ তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে।’


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা