× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ইমিগ্রেশনের অভাবে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত

কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৬:১৮ পিএম

আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৩৮ পিএম

কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বানুরকুটি সীমান্তে অবস্থিত সোনাহাট স্থলবন্দর। প্রবা ফটো

কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বানুরকুটি সীমান্তে অবস্থিত সোনাহাট স্থলবন্দর। প্রবা ফটো

প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থাকলেও ইমিগ্রেশন চালু না হওয়ায় সোনাহাট স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিতে প্রসার ঘটছে না। ফলে ৪৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যোগাযোগ করায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাই দ্রুত ইমিগ্রেশন চালুর দাবি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলাবাসীর। 

সোনাহাট স্থলবন্দরটি কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বানুরকুটি সীমান্তে অবস্থিত। স্থলবন্দরটি ব্রিটিশ আমলের একটি বাণিজ্যিক বন্দর ও সমৃদ্ধ শহর ছিল। ব্রিটিশ আমলের বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আসাম, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, অরুণাচল ও মেঘালয় রাজ্যের একমাত্র প্রবেশদ্বার ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর এ পথগুলো বন্ধ হয়ে যায়।

পরবর্তী সময়ে আবারও ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সোনাহাট স্থলবন্দর চালু হলেও অবকাঠামো নির্মাণ করা হয় ২০১৬ সালে। ১৪ দশমিক ৬৮ একর জমির ওপর বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। এ বন্দরে ৬০০ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন একটি ওয়্যারহাউজ, ৯৬ হাজার বর্গফুটের পার্কিং ইয়ার্ড, ৯৫ হাজার বর্গফুটের ওপেন স্টকইয়ার্ড, শ্রমিকদের জন্য দুটি বিশ্রামাগার, একটি প্রশাসনিক ভবন ও দ্বিতল ডরমিটরি ভবন রয়েছে।

স্থলবন্দরটিতে ইমিগ্রেশন চালু হলে ভারতের সাত অঙ্গরাজ্যের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে। ভারত থেকে আমদানি পণ্য পরিবহনে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার পথ সাশ্রয় হওয়ায় লাভবান হবেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। এ বন্দর ব্যবহার করে ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, হিমাচল ও অরুণাচল রাজ্যের সঙ্গে সড়কপথে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। পাশাপাশি পর্যটন ও পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে সোনাহাট স্থলবন্দর। বন্দরটিতে পুরোদমে বাণিজ্যিক কার্যক্রম এবং ইমিগ্রেশন চালুর জন্য এরই মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের উভয় দেশেই অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে।

ইতোমধ্যে ভারতের আসাম, মেঘালয়সহ সেভেন সিস্টারখ্যাত রাজ্যগুলোর সঙ্গে স্বল্পপরিসরে শুধু পাথর ও কয়লা আমদানি ও রপ্তানির জন্য ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সোনাহাট স্থলবন্দর চালু হয়।

চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সোনাহাট স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে বলেন, সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর ব্যাপারে প্রাথমিক কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী (মার্চ) মাসেই ভারতের সঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে ইমিগ্রেশনের বিষয়টি এজেন্ডা হিসেবে রাখা এবং দ্রুত সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতির ছয় মাস অতিবাহিত হলেও ঝুলে আছে ইমিগ্রেশন চালুর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

দেশের ১৮তম সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০টি পণ্য আমদানি এবং বাংলাদেশ থেকে সব পণ্য রপ্তানি চুক্তি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে বন্দর চালুর ১১ বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত শুধু কয়লা ও পাথর আমদানি করায় হতাশ কুড়িগ্রামের ব্যবসায়ী মহল। তবে স্বল্পপরিসরে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চললেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে বছরে আয় মাত্র ১২ কোটি টাকা।

স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শুধু ইমিগ্রেশন না থাকায় বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে আসাম হয়ে ৪৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করতে হয়। ফলে অনেক সময়েই জরুরি ব্যবসায়িক আলাপ সম্ভব হয় না। অথচ সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালু হলে মাত্র ১ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হবে আমাদের। ইমিগ্রেশন চালু হলে ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত রাজ্যগুলোসহ ভুটানের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের সুবিধা হবে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ইমিগ্রেশন চালুর সার্বিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন। শুধু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত একটি বৈঠকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। সেই বৈঠকেই মূলত এর উদ্বোধনের বিষয়টি নির্ভর করছে। তবে আমরা আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। বন্দরে ইমিগ্রেশন চালু হলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করতে পারবে। এ ছাড়া কুড়িগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন হবে।’ 


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা