প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১৬:২০ পিএম
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৫৬ পিএম
লশান ক্লাবে ৯ম আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি এন্ড সিকিউরিটি এক্সপো ২০২৩ লঞ্চিং সেরিমনি - মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠান। প্রবা ফটো
তিন দিনব্যাপী ৯ম আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি এন্ড সিকিউরিটি এক্সপো ২০২৩ আগামী ২১ নভেম্বর থেকে ২৩শে নভেম্বর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে ৯ম আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি এন্ড সিকিউরিটি এক্সপো ২০২৩ লঞ্চিং সেরিমনি - মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসাব) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ইসাবের সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর স্বাগত বক্তব্যে সংস্থাটির বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন ও গতিশীলতার সাথে তাল মিলিয়ে ইসাবের সদস্যরা দেশের সার্বিক শিল্প-বানিজ্যের ও আবাসন খাতের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ইসাবের সেক্রেটারি জেনারেল এম. মাহমুদুর রশিদ আন্তর্জাতিক এই এক্সপোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এবারের এক্সপোতে তিনটি ক্যাটাগরিতে পণ্য প্রদর্শন করা হবে। যার মধ্যে থাকছে ফায়ার সেফটি সলিউশন, সিকিউরিটি সলিউশন ও বিল্ডিং অটোমেশন। মেলায় ৩০টি দেশের শতাধিক বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক এই এক্সপোতে অগ্নি নিরাপত্তা ও সমসাময়িক বিষয়ে ৪টি টেকনিক্যাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং তাদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হবে। প্রতিটি সেমিনারে ৮০০ জন পর্যন্ত অংশগ্রহন করতে পারবে। এছাড়াও অগ্নি নির্বাপন ও দূর্ঘটনায় উদ্ধার কাজে সাহসী ভুমিকা রাখার জন্য ফায়ার ফাইটারদের সম্মাননাও দেবে ইসাব। সাথে থাকছে লাইভ ফায়ার ডেমনস্ট্রেশন এবং অন্যান্য আয়োজন।
চলতি বছরের ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর তিনদিন ব্যাপী এক্সপো সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের শিল্প-কারখানায় কীভাবে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে হবে তা শিখিয়ে দিয়েছে রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনা। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে হলে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম ভবিষ্যতে দেশেই তৈরি হবে। সেজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার। এ জন্য কারখানার যাবতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। কোনো অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের প্রয়োজন নেই। প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমীন হেলালি, সহ-সভাপতি রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন) লেঃ কর্নেল তাজুল ইসলাম এবং এফবিসিসিআইয়ের নব নির্বাচিত পরিচালনা পরিষদ।
ইসাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক নিয়াজ আলী চিশতী আন্তর্জাতিক এই এক্সপোতে অংশগ্রহণ করতে দেশের ও দেশের বাইরে সবাইকে আমন্ত্রণ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন প্রতিবছরের মতো এবছরেও এই এক্সপো সফল হবে এবং সমগ্র দেশের শিল্প, বানিজ্য এবং সেবা খাতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। তিনি বাংলাদেশের অগ্নি নিরাপত্তা খাতের বিভিন্ন সমস্যা এবং সম্ভাবনা তুলে ধরেন। তিনি এই খাতের ট্যাক্স, ভ্যাট এবং আমদানির খরচ কমানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন ও বন্দরে পণ্য খালাসে সহজীকরণ করার অনুরোধ জানান। এই এক্সপোর মাধ্যমে ফায়ার সেফটি এবং সিকিউরিটি পণ্য মানুষের কাছে আরো সহজলভ্য হবে এবং বিনিয়োগকারীদেরকে আরো উৎসাহিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
২০২৩ সালের এক্সপোর সাথে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে ‘ইসাব সেফটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড। তিনটি ক্যাটাগরিতে - বাণিজ্যিক ভবন, আবাসিক ভবন ও শিল্প কারখানায় যারা যথাযথ নিয়মনীতি মেনে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন তাদেরকে অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করা হবে। অভিজ্ঞ জুড়ি বোর্ডের মাধ্যমে এই নিরীক্ষা করা হবে।
অনুষ্ঠানে ইসাবের পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন, সহ সভাপতি মো. ওয়াহিদ উদ্দিন, এস এম শাহজাহান, মো. মতিন খান, মোহাম্মদ মাহমুদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল জাকির উদ্দিন আহমেদ, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাহমুদ ভাই খুদা মাহমুদ-ই-খোদাসহ অন্যরা।