প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ২১:১২ পিএম
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের আমদানি বিকল্প শিল্প: প্রেক্ষিত হালকা-প্রকৌশল খাত’ শীর্ষক সেমিনার। প্রবা ফটো
দেশের হালকা-প্রকৌশল খাত থেকে বর্তমানে বার্ষিক আয় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা, জিডিপিতে যার অবদান ৩ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের আমদানি বিকল্প শিল্প: প্রেক্ষিত হালকা-প্রকৌশল খাত’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম শোয়েব হোসেন নোবেল।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে তিনি আরো বলেন, ‘হালকা প্রকৌশল খাতের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক সুবিধা প্রদান, বেকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের উন্নয়নে নীতি সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক প্রণোদনা প্রয়োজন।’
ডিসিসিআইয়ের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, ‘হালকা প্রকৌশল শিল্পের বিকাশে সহায়ক নীতি সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হলে আমাদের স্থানীয় খাদ্য, চামড়া ও পাদুকা, ইলেকট্রনিক্স, অ্যাগ্রো-প্রসেসিং এবং ওষুধ শিল্পের বেকওয়ার্ক লিংকেজ খাত হিসেবে স্থানীয় চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনে সক্ষম হবে, পাশাপাশি এ খাত থেকে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব।’
সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘হালকা প্রকৌশল খাতে দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, চীন ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে এবং বাংলাদেশেও সঠিক পথেই আছে, প্রয়োজন যথাযথ নীতি সহায়তা এবং এর সঠিক বাস্তবায়ন। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সব সহযোগিতা দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি পর্যায়ে নীতি সহায়তা নিয়ে সমন্বয়হীনতার কারণে শিল্পখাতের বিকাশ স্তিমিত হয়ে যায়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। মৌলিক মেশিনারিজ উৎপাদনে আমাদের সক্ষমতা আরও বাড়াতে প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করা আবশ্যক। ধোলাইখাল, জিঞ্জিরাসহ তৃণমূলের উদ্যোক্তাদের উৎসাহ বৃদ্ধিতে আরও নজর দিতে হবে।’