প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:১৮ পিএম
প্রবা ফটো
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বিষয়ে পুনরায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেনি তাদের আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে পরিকল্পনা জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কাছে বিএসইসির পাঠানো এক নির্দেশনায় বিএসইসি জানিয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে কোম্পানিগুলোতে কমপক্ষে দুইজন স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ করতে হবে।
২০২০ সালে জুলাই মাসে ৪৪টি তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার নির্দেশনা দিয়েছিল বিএসইসি। কিন্তু এতদিন পরও বেশিরভাগ কোম্পানি এই নির্দেশনা পালন করেনি।
তথ্য মতে, ২০২৩ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ২৯টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণ মানেনি। তবে ডিসেম্বর ২০২০ থেকে মে ২০২৩ পর্যন্ত ১৫টি কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা পরিপালন করেছে।
বর্তমানে ৯টি কোম্পানির উদ্যোক্তা এবং পরিচালকদের শেয়ার ২০ শতাংশের নিচে রয়েছে এবং ১০ শতাংশের নিচে শেয়ার রয়েছে ৩টি কোম্পানির শেয়ার। ইতোমধ্যে ৫টি কোম্পানি ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের পরিকল্পনা জমা দিয়েছে, যা কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে। আর ৪টি কোম্পানি এক বছর ধরে তাদের শেয়ারধারণ রিপোর্ট কমিশনে জমা দেয়নি। কোম্পানিগুলো ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের পুঁজিবাজারের বড় ধসের পর উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ এবং এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে কয়েকজন উদ্যোক্তা-পরিচালক। তবে বিএসইসি এই নির্দেশনা বহাল রাখে উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা ৩০ শতাংশ উচ্চ আদালত। কিন্তু ১০ বছরের বেশি সময় পরও এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা।