× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পাটের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে এফবিসিসিআই : মাহবুবুল আলম

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:০৩ পিএম

আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:২৩ পিএম

এফবিসিসিআইয়ের গুলশান কার্যালয়ে পাট শিল্প খাতের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক এই মতবিনিময় সভা। প্রবা ফটো

এফবিসিসিআইয়ের গুলশান কার্যালয়ে পাট শিল্প খাতের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক এই মতবিনিময় সভা। প্রবা ফটো

পাট আমাদের সোনালি ঐতিহ্য। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের নিজস্বতা ও গৌরবের ইতিহাস। পাটের সোনালি আঁশ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। পাট শিল্পের বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করে এই শিল্পের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে এই খাতের উদ্যোক্তা, সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। পাট শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এই মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। বৃহস্পতিবার (১২অক্টোবর ) এফবিসিসিআইয়ের গুলশান কার্যালয়ে পাট শিল্প খাতের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সুদূর প্রাচীনকাল থেকে আমাদের পাট শিল্প ছিল অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। একসময় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান হাতিয়ার ছিল এই পাট। এমনকি স্বাধীনতার পরেও দুয়েক বছর আমাদের পাট শিল্পের গৌরব ছিল অক্ষত। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সেই পাটশিল্পের গৌরব আজ নানাবিধ কারণে ম্লান হতে বসেছে । এই শিল্পের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। পাটের সোনালি আঁশ কাজে লাগিয়ে কীভাবে রপ্তানি বৃদ্ধি করা যায়, কীভাবে পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় সেটি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। পাটজাত পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে বিশ্বের নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি ও রপ্তানি বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা দেবে এফবিসিসিআই।

মতবিনিময় সভায় পাটজাত শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংগঠন ও এই খাতের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা পাট শিল্পের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: কাঁচাপাটের উপর ২ শতাংশ উৎসে কর রহিত করণ, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ শতভাগ বাস্তবায়ন ও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধকরণ, Anti-dumping নিয়ে আপিল করা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পাটজাত পণ্যকে কৃষিজাতপণ্য হিসাবে ঘোষণা বাস্তবায়ন, পাটশিল্পকে রক্ষার জন্য ইডিএফ (Export Development Fund) এর ন্যায় জেএসডিএফ (Jute Sector Development Fund) গঠন, পাটকলগুলোর মেশিনারিজের আধুনিকায়নের জন্য পার্শ্ববতী দেশ ভারতের ন্যায় ৩০ শতাংশ ভর্তুকি ও স্বল্পসুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা, করোনাকালীন শিল্প সেক্টরে সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা বেসরকারি পাটকলগুলো না পাওয়ায়  তার পরিবর্তে ব্যাংক সুদ মওকুফ করা, করোনাকালিন শিল্প সেক্টরে সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা বেসরকারি পাটকলগুলো না পাওয়ায়  তার পরিবর্তে ব্যাংক সুদ মওকুফ করা, সকল পাটপণ্য রপ্তানিতে ৭ শতাংশ, ১২ শতাংশ এবং ২০ শতাংশ প্রণোদনার পরিবর্তে ইয়ার্ন ও টোয়াইন এবং হেসিয়ান,  সেকিং ও সিবিসি এর জন্য ২০ শতাংশ ও  বহুমুখী পাটপণ্যের জন্য ২৫ শতাংশ হিসেবে নগদ সহায়তা বৃদ্ধি, রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনার উপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর রহিতকরণ, অন্যান্য শিল্পখাতের ন্যায় পাটশিল্পখাতের সমুদয় ব্যাংক ঋণ মওকুফ, কৃষকদের জন্য উচ্চফলনশীল পাট বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করণ, কাঁচাপাট উৎপাদন, ব্যবহার ও রপ্তানি বিষয়ে সঠিক পরিসংখ্যান প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 

পাটশিল্প খাতের ব্যবসায়ীরা বলেন, কাঁচাপাটের উপর ২ শতাংশ উৎসে কর আরোপ করায় সেটি বাংলাদেশের কৃষক ও কাঁচা পাট ব্যবসায়ীদের উপর পড়েছে, ফলে কৃষকগণ পাট উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হওয়ার পাশাপাশি পাট উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন বক্তারা। এসময় দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে পাটপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ এর শতভাগ বাস্তবায়ন ও পলিথিনের ব্যবহার নিশ্চিতকরণের দাবি জানান বক্তারা।

বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বাংলাদেশ পাটকল সমিতি) এর প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক মো. আবুল হোসেন বলেন, পাট শিল্পকে রক্ষায় ইডিএফ (Export Development Fund) এর ন্যায় জেএসডিএফ (Jute Sector Development Fund) গঠন করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাটশিল্পে স্বল্পসুদে ঋণ প্রদান করা হলে মিল মালিকগণ চিরাচরিত পাটপণ্যের সাথে বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ হবে এবং স্বল্প মূল্যে দেশে ও বিদেশের বাজারে পাটপণ্য ও বহুমুখী পাটপণ্য বিক্রি/রপ্তানি বাড়াতে সচেষ্ট হবে । 

এসময় এফবিসিসিআই এর সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালক আলহাজ্জ্ব আজিজুল হক, মো. নিয়াজ আলী চিশতি, ফখরুস সালেহীন নাহিয়ানসহ বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জুট স্পীনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ডাইভারসিফাইড জুট গুডস প্রডিউসারস এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন, ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনএসডিএ) এবং বাংলাদেশ হস্তশিল্প প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বাংলাক্রাফ্ট) এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা