গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি পুনঃনির্ধারণের দাবি

গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি পুনঃনির্ধারণসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন। রবিবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনের নেতারা এসব দাবি জানান।

এ সময় মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের নেতা মন্টু ঘোষ, ফয়েজ হোসেন, শহীদুল ইসলাম সবুজ, শবনম হাফিজ, আবু সাঈদ, তাসলিমা, মো. শাহজাহানসহ বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের সমন্বয়ক তাসলিমা আখতার বলেন, যখন শ্রমিকরা ২৫ হাজার টাকা দাবি করেছে, সে সময় মজুরি বোর্ড প্রথমে ১০ হাজার ৪০০ টাকা ও পরে ১২ হাজার ৫০০ টাকা ঘোষণা করেছে। আজকে তারা আবারও বসেছে সমস্ত কিছু পাকাপোক্ত করার জন্য। তারা মজুরি বোর্ড বাদ দিয়ে মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বসেছে। তারা আজকে মজুরি চূড়ান্ত গ্যাজেট করার আগে যা যা করা দরকার তা তা করবেন। আমরা এই ১২ হাজার ৫০০ টাকার মজুরি প্রত্যাখ্যান করে মজুরি পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে দ্রব্যমূল্য যে অবস্থায় আছে পোশাক শ্রমিক তো দূরে থাক, মধ্যবিত্তরাই তাদের চাহিদা মেটানোর সামর্থ্য রাখে না। অথচ এই পোশাক শ্রমিকরা অর্থনীতির প্রাণ। তারা বাংলাদেশকে সারাবিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছে। কিন্তু এই পোশাক শ্রমিকদের পেটে ভাত নেই। তাদের সন্তানদের শিক্ষা, চিকিৎসার নিশ্চয়তা নেই। শ্রমিকরা যখন তাদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে, তখন পুলিশসহ মালিকদের গুণ্ডা বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। চারজন শ্রমিক মারা গেছেন। বাবুল হোসেনসহ অনেক নেতা ও শ্রমিকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে। আমরা সেসব মামলা প্রত্যাহার ও সব শ্রমিকদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।

তাদের দাবিগুলো হলো- গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি পুনঃনির্ধারণ ও ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা; শ্রমিক নেতা বাবুল হোসেনসহ গ্রেপ্তারকৃত সব শ্রমিকদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার; শ্রমিকদের উপর হামলা-মামলা-নির্যাতন-নির্যাতন বন্ধ করা; পুলিশের গুলিতে নিহত শ্রমিকদের এক জীবনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা; শ্রমিক হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা ইত্যাদি।