প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৫৪ পিএম
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:০৮ এএম
আড়তে পেঁয়াজের দোকান। সংগৃহীত ফটো
ভারত থেকে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছিল। খুচরা বাজারে একদিনের ব্যবধানে ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ে পেঁয়াজের। যদিও সংশ্লিষ্টদের তৎপরতায় দাম এখন আবার নিম্নমুখী। তবে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে উপসাগরীয় অঞ্চলে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) খুচরা ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তারা পেঁয়াজ সংগ্রহের জন্য বিকল্প উত্স খুঁজছেন। কারণ ভারত থেকে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার দাম ছয় গুণ বেড়েছে।
রপ্তানিকারক আল সাফের গ্রুপের পরিচালক অশোক তুলসিয়ানি বলেন, ‘সম্ভাব্য বিকল্প হলো তুরস্ক, ইরান এবং চীন। কিন্তু পরিমাণ, গুণমান এবং দামের দিক থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ এখনও সেরা। অন্য কোনো দেশ ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে পারবে না।’
ভারতীয় উপমহাদেশ ও উপসাগরীয় দেশগুলোতে পেঁয়াজের প্রধান রপ্তানিকারক ভারত। গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, নয়াদিল্লীতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০-৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এজন্য আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাখবে। এই সিদ্ধন্তের পরই নির্ভরশীল দেশগুলোতে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে।
আল মায়া গ্রুপের পরিচালক কমল ভাচানি মনে করেন, ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার খবর আমিরাতকে পেঁয়াজের বিকল্প উৎসের সন্ধানে প্ররোচিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত তার বিকল্প সম্ভাব্য উৎসগুলো নির্ধারণ করছে।
তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদের ধারাবাহিকভাবে পেঁয়াজ সরবরাহের নিশ্চয়তা দিতে আমরা সক্রিয়ভাবে উৎস আরও প্রসারিত করার পদক্ষেপ নিয়েছি। বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে নিবেদিতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
সূত্র : খালিজ টাইমস