× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মাছের ত্বকে সাফল্যের হাতছানি

মো. আমান উল্লাহ, বাকৃবি

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৪০ পিএম

আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৪২ পিএম

মাছের ত্বক থেকে জেলাটিন। প্রবা ফটো

মাছের ত্বক থেকে জেলাটিন। প্রবা ফটো

দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ত্বক থেকে জেলাটিন নিষ্কাশন করে প্রাথমিক সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। এই জেলাটিন থেকে জেলি আইসক্রিম, জেলি ক্যান্ডি, জেলি পুডিং খাদ্যদ্রব্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে গবেষক দল। ফলে একদিকে যেমন বিদেশ থেকে জেলাটিন আমদানির খরচ কমবে, অন্যদিকে মাছের যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব হবে। গবেষক দলের প্রধান ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন গবেষণা সম্পর্কে এসব তথ্য দেন। পাঁচ সদস্যের গবেষক দলে ছিলেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখা এবং তিনজন স্নাতকোত্তর অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী।

অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা পাঙাশ, সামুদ্রিক পোয়া, ইল বা বাইন, শোল মাছের ফেলে দেওয়া ত্বক থেকে প্রাথমিকভাবে জেলাটিন নিষ্কাশন করতে সক্ষম হয়েছি। এই জেলাটিন বাজারের বহুল ব্যবহৃত জেলাটিনের সঙ্গে তুলনা করে এর বৈশিষ্ট্য, পানি ধারণক্ষমতা ও গলনাঙ্কের মান যাচাই করেছি। পরে নিষ্কাশিত জেলাটিন দিয়ে আইসক্রিম, চকলেট ও পুডিংও তৈরি করেছি। যেকোনো প্রজাতির মাছ থেকেই উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন জেলাটিন পাওয়া সম্ভব হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর পাঁচ হাজার কোটি টাকার মতো মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়। এই মৎস্য খাত ব্যবহার করে আমরা যদি আরও বৈদেশিক মুদ্রা আনতে চাই, তাহলে আমাদের আরও ভালো মানের ও ধরনের নতুন পণ্য তৈরি করতে হবে। এ ছাড়াও ভবিষ্যতে যদি মাছের বাণিজ্যিক ফ্রোজেন ইন্ডাস্ট্রি বা ক্যানিং ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশের গড়ে ওঠে, তাহলে মাছের উচ্ছিষ্ট ত্বকগুলা জেলাটিন নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহার করতে সক্ষম হব।’

অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন আরও জানান, ওষুধ ও খাদ্য শিল্পে ব্যবহারের জন্য বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে জেলাটিন আমদানি করা হয়। তাই যদি দেশীয় মাছ থেকে জেলাটিন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হয়, তবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় হবে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন ছোট-বড় মাছের বাজারে উচ্ছিষ্ট অংশ যা বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়, তার একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা হবে। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত জেলাটিনের প্রধান উৎস গরু ও শূকর। তাই মাছ থেকে নিষ্কাশিত জেলাটিন খাদ্যপণ্যে ব্যবহার করা হলে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত সম্ভব হবে।

গবেষণা বিষয়ে অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখা বলেন, মাছের উচ্ছিষ্ট থেকে উৎপাদিত এসব পণ্যের মধ্যে বিপুল পরিমাণে প্রোটিন আছে। আমরা এই প্রোটিন নষ্ট না করে একটি বিকল্প উপায়ে ব্যবহার করতে পারি। আমাদের দেখি প্রচুর পরিমাণে মাছের বর্জ্য ফেলে দেওয়া হয়। এগুলো ব্যবহার করে যদি আমরা জেলাটিন তৈরি করতে পারি, তাহলে একদিকে যেমন ধর্মীয় হালাল-হারামের বিষয়টা কমানো যাবে, অপরদিকে পরিবেশকে সুরক্ষা প্রদান করা যাবে।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা