× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চট্টগ্রাম বন্দরে স্ক্যানার স্থাপন

যারা পণ্য রপ্তানিতে ফাঁকি দিতেন তারা ধরা খেয়ে যাবেন : নৌ প্রতিমন্ত্রী

চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:২০ পিএম

আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫০ পিএম

চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেট এবং সিপিএআর গেটে বসানো রপ্তানিমুখী কন্টেইনার স্ক্যানার উদ্বোধন করেছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রবা ফটো

চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেট এবং সিপিএআর গেটে বসানো রপ্তানিমুখী কন্টেইনার স্ক্যানার উদ্বোধন করেছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রবা ফটো

আগে যেসব ব্যবসায়ী পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করতেন তারা এখন ধরা খেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেট এবং সিপিএআর গেটে বসানো রপ্তানিমুখী কন্টেইনার স্ক্যানারের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্ক্যানার দুটি অপারেট করবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। ফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রপ্তানি কন্টেইনার জাহাজীকরণ সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বন্দরে এই দুটি স্ক্যানার স্থাপনের মধ্য দিয়ে আমরা যে আইএসপিএস কোড আছে সেটি পূরণ করতে পেরেছি। এতে আন্তর্জাতিক মণ্ডলে আমাদের বন্দরের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে আগে যেসব অনিয়মের অভিযোগ আসত, স্ক্যানার দুটি চালু করার মাধ্যমে এখন সেটি কেটে যাবে। আগে বন্দরে শুধু আমদানি পণ্য স্ক্যানিং করা হতো, এখন এ দুটি স্ক্যানারের মাধ্যমে রপ্তানি পণ্যও স্ক্যানিং করা হবে। তাই রপ্তানি পণ্য নিয়ে যেসব কথাবার্তা হতো, এখন সেটি আর হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছি। সেখানে শুধু চট্টগ্রাম বন্দরকে আমরা স্মার্ট করছি, বাকিগুলো অন্ধকারে থেকে যাবে এমন না। দেশে এখন ১৭টি স্থলবন্দর আছে, এগুলোতে আমরা স্ক্যানার বসাব। মোংলা, পায়রা বন্দরে স্ক্যানার বসানো হবে। সবগুলো বন্দর স্ক্যানিংয়ের আওতায় চলে এলে সবাই জবাবদিহির মধ্যে চলে আসবে। তখনোই আমাদের সামগ্রিক উন্নয়নটা দৃশ্যমান হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মেরিটাইম সেক্টরে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে এ বছরে কাজ শুরু হবে। তখন মেরিটাইম সেক্টর আরও এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর করেছেন, গভীর সমুদ্রবন্দর করেছেন। মেরিটাইম সেক্টরে সি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছে। ডেনমার্ক পায়রা বন্দরে বিনিয়োগ করতে চায়। সৌদি আরব আরও বিনিয়োগ করতে চায়। তারা মনে করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিরাপদ।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পর্দার আড়ালে আমরা কারও সঙ্গে বৈঠক করছি তা নয়। যার সঙ্গে কাজ করলে চট্টগ্রাম বন্দর ও দেশের স্বার্থ রক্ষা হবে, বন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিরাপদে থাকবে আমরা সেটিই করব। শুধু এনসিটি নয়, আমরা সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। আমাদের সঙ্গে যদি সে স্বার্থ মিলে যায় শুধু এনসিটি কেন অন্যান্যগুলোতেও বিনিয়োগে আমরা বাধা দেব না।’

বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফাইজুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোস্তফা আরিফুর রহমান খানসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নৌ-সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বন্দরে স্ক্যানার বসাতে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই স্মার্ট গভর্ন্যান্স। এনবিআরের কাজে বন্দর সহযোগিতা করছে। ভবিষ্যতেও যদি সহযোগিতার দরকার হয় করা হবে।’

বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা ও নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে বন্দর এগিয়ে চলছে। প্রথমবারের মতো আধুনিক স্ক্যানার স্থাপন করেছি। স্ক্যানার দুটি কাস্টম হাউস অপারেট করবে। এর ফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রপ্তানি কন্টেইনার জাহাজীকরণ সম্ভব হবে। বন্দরের নিরাপত্তা ও ভাবমূর্তি বাড়বে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বন্দরের পিসিটিতে সৌদিভিত্তিক রেড সি গেটওয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। বে টার্মিনালের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বে-টার্মিনালের কাজ শেষ হলে বন্দরের সক্ষমতা অনেকগুণ বেড়ে যাবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা