প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৪ ২১:৫২ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৪ ১৪:০৬ পিএম
বিআইসিসিতে অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাস রুট উইম্যান এন্ট্রাপ্রেনিউরস বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। ছবি : সংগৃহীত
দেশের বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকায় বিক্রি হবে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি জানান, রবিবার (৩ মার্চ) থেকে ভোজ্যতেল লিটার ১৬৩ টাকায় কিনতে পারবে ক্রেতারা। এছাড়া চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসবে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শনিবার (২ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে (বিআইসিসি) ‘অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাস রুট উইম্যান এন্ট্রাপ্রেনিউরস বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার (১ মার্চ) থেকে ভোজ্য তেলের মনিটরিং শুরু হয়েছে। সকাল থেকেও সব মিলগেটে টিমগুলো মনিটরিংয়ে আছে। ট্যারিফ কমানোর পর কত মাল তারা আমদানি করেছে এবং তাদের বাফারস্টোক তৈরির জন্য যে সময় দেওয়া হয় তা কতটা কাজে লাগিয়েছে, সে বিষয়ে এরই মধ্যে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি আগামীকাল থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকায় বিক্রি হবে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৪৯ টাকায়।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ত্রয়োদশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সময় ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী আমাদের পেঁয়াজ ছাড়করণের আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি সেখানে বসেই পেঁয়াজ ছাড়ের নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা শুক্রবার সে চিঠি পেয়েছি। দেশটি থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এ সপ্তাহের মধ্যে আসা শুরু হবে। এর ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট রমজানে যেন ভোক্তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে না হয়। তেলে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর চিঠি দিয়েছি, যার প্রভাব রমজানে পড়বে। শুল্ক ছাড় দিয়ে বাজারে নির্দিষ্ট ধরনের খেজুরের দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজারে অন্তত ১০ ধরনের খেজুর রয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ মানুষের জন্য জায়েদি খেজুর, যা বস্তায় করে দেশে আসে, তার দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের এক মাস সময় দিয়েছি দাম কমানোর। বস্তায় আসা জায়েদি খেজুর রবিবার দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। আশা করছি এরপর দাম কমে আসবে অর্থাৎ এ সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ খুচরা ও পাইকারি মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হবে, এতে দাম কমে আসবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের টার্গেট শুধু রমজান নয়, রমজান মাসের পরও নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কোনো ব্যবসায়ী বা গোষ্ঠীর হাতে সাধারণ মানুষ জিম্মি থাকবে না। টিসিবির এক কোটি মানুষ তেল-চিনিসহ কয়েকটি নিত্যপণ্য ভর্তুকি মূল্যে পাবেন। রমজানের আগে ভোক্তাদের যেন বাড়তি দামে পণ্য কিনতে না হয়, সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এতে নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিকভাবে কমে আসবে। নিত্যপণ্য নিয়ে ব্যবসায়ী বা অন্য কারও কাছে সরকার জিম্মি থাকবে না। পণ্য আমদানি ও খালাস করা নিয়ে যৌক্তিক কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধান করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কোনো অজুহাত সহ্য করা হবে না। রমজান ও রমজানের বাইরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কোনো ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বা কারও কাছে জিম্মি থাকবে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মনিটরিংয়ের বিষয়ে আমাদের টিম ঢাকাসহ সারা দেশে আছে। এ ব্যাপারে আমাদের পরিপত্র আছে। জেলা পর্যায়ে ডিসি এবং ইউএনওদের দিয়ে মনিটরিং করাচ্ছি। পুলিশিং করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আমরা এটা চাইও না। আমরা চাই, বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রেখে যেন দামটা যৌক্তিক পর্যায়ে থাকে।