প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৪ ২২:৩৩ পিএম
প্রবা ফটো
রপ্তানির তথ্য যাচাইয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ লক্ষ্যে একটি ‘অনলাইন ফরেইন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন মনিটরিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফএক্স ড্যাশবোর্ড)’ চালু করা হয়েছে। এখন থেকে এই ড্যাশবোর্ডে তথ্য হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রপ্তানির আড়লে অর্থপাচার রোধে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানাগেছে, এতদিন অনলাইনের পাশাপাশি প্রতি মাসে কাগজে লিখে রপ্তানি তথ্য জমা দিতে ব্যাংকগুলোর উপর বাধ্যবাধকতা ছিল। এখন নতুন ড্যাশবোর্ডে তথ্য দেওয়ার পর কাগজে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। ‘ড্যাশবোর্ডের’ তথ্য পর্যালোচনা করে বৈদেশিক মুদ্রা বাজার তদারকি ও প্রতিটি লেনদেন সহজেই আরো নিবিড় তদারকির আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল রোববার জারিকৃত সার্কুলারে নতুন সিদ্ধান্ত দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থা ‘পেপারসলেস (কাগজবিহীন)’ করা ও লেনদেন তথ্য নিয়মিত তদারকি করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, রপ্তানি সংক্রান্ত তথ্য যেমন, রপ্তানির পরিমাণ, আয়, বকেয়া হলে তার কারণ, মামলার বিষয়, রপ্তানি বিল, রপ্তানি আয়ের বিষয়ে উদ্যোক্তাদের দাবি ইত্যাদি এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ড্যাশবোর্ডে জমা দিতে হবে। তছাড়া রপ্তানি আয় প্রত্যাবসনের সার্টিফিকেটও (সনদ) অনলাইনে দিতে হবে।
নির্ধারিত সার্ভারে রপ্তানি সংক্রান্ত কোনো অতিরিক্ত তথ্য থাকলে তাও জানাতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, বকেয়া হওয়া রপ্তানি আয়ের তথ্য প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘অনলাইন এক্সপোর্ট মনিটরিং সিস্টেমে (ওইএমএস)’ এ জমা দিতে হবে। এছাড়া রপ্তানি আয় বকেয়া হওয়ার কারণ ও তা দেশে আনতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে নেওয়া উদ্যোগগুলোও জানাতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনলাইনে জমা দিলেও ভবিষ্যতে ব্যাংকের নিজস্ব প্রয়োজনে রপ্তানি আয়ের সব তথ্য ও কাগজপত্র (ডকুমেন্টস) সংরক্ষণ করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ৩৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, প্রবৃদ্ধি হয়েছে দুই দশমিক ৫২ শতাংশ। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার ছিল ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারের। এসময়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ছয় দশমিক ৬৭ শতাংশ।