প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪ ২২:২৪ পিএম
ফাইল ফটো
মার্জিন কমিয়ে নতুন নির্দেশনা দেওয়ার পরও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (এনবিএফআই) ঋণের সুদ ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ট্রেজারি বিলের সুদহার লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে আমানত ও ঋণের সুদহার। উর্ধ্বমূখী প্রবণতা কমিয়ে আনতে কিছুটা লাগাম টেনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অন্যথায় ঋণে সুদহার ১৬ শতাংশে উন্নীত হতো।
গত মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এনবিএফআই ঋণ ও আমানতের সুদহার নির্ধারণে মার্জিনে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল বা স্মার্ট রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ মার্জিন যোগ করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। আর আমানতের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে মার্জিন হবে স্মার্ট রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। প্রজ্ঞাপন জারির পর ঋণের সুদহার ১৫.১১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
এতদিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ দুটি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৭৫ ও ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ মার্জিন যোগ করতে পারত। নতুন সুদ মার্জিন কার্যকর হওয়ার পর চলতি মার্চে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ। আর এ প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ১১ শতাংশ সুদে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে। নতুন করে সংগৃহীত আমানত ও বিতরণকৃত ঋণের ক্ষেত্রে এ সুদহার প্রযোজ্য হবে।
গত বছরের জুলাই থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, যা স্মার্ট বা সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করা হয়। সংকট কাটাতে দাতা সংস্থাটির কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা নিচ্ছে সরকার। এ ঋণপ্রাপ্তির অন্যতম শর্ত হলো ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করা। নতুন এ পদ্ধতি প্রবর্তনের পর থেকেই দেশে ব্যাংকঋণের সুদহার বাড়ছে। চলতি মার্চে ব্যাংকঋণের সর্বোচ্চ সুদহার উঠেছে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশে।
ব্যাংকঋণের সুদহার নির্ধারণে প্রতি মাসের শুরুতে সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল বা স্মার্ট রেট ঘোষণা করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফেব্রুয়ারির শেষ দিন ওই মাসের স্মার্ট রেট ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ ঘোষণা করা হয়। এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ মার্জিন যুক্ত করতে পারবে। সে হিসেবে মার্চে ব্যাংকঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ।
তবে এসএমই ও রিটেইল ঋণের জন্য গ্রাহকদের এর চেয়ে বেশি সুদ গুনতে হবে। মার্চে এ খাতে ব্যাংকঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। কৃষি ও পল্লি ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুদ ১২ দশমিক ১১ শতাংশ হবে।