× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ত্রিপুরায় সিমেন্টের চাহিদা বেড়ে রপ্তানি বাণিজ্যে আশা

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪ ২২:১৬ পিএম

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৮-১০ ট্রাক সিমেন্ট যাচ্ছে ত্রিপুরায়। প্রবা ফটো

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৮-১০ ট্রাক সিমেন্ট যাচ্ছে ত্রিপুরায়। প্রবা ফটো

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রতিদিন ৬০-৭০ টন সিমেন্ট রপ্তানি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। আর প্রতি টনের রপ্তানিমূল্য ৭৯ থেকে ৮৬ মার্কিন ডলার। চলমান অর্থনৈতিক মন্দা এবং ডলার সংকটের মাঝেই ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য। বিগত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে রপ্তানি কিছুটা বেড়েছে। আর রপ্তানি বাণিজ্যে আশা জাগাচ্ছে সিমেন্ট। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশি সিমেন্টের বড় বাজার তৈরি হয়েছে ত্রিপুরায়। ফলে এ নির্মাণসামগ্রীটির রপ্তানিও বাড়ছে। তবে চলতি অর্থবছরে সামগ্রিক আমদানি কমেছে।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যে কয়েকটি পণ্য নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম মাছ, সিমেন্ট, প্লাস্টিক ও খাদ্যসামগ্রী। বর্তমানে রপ্তানি হওয়া পণ্যের তালিকায় মাছের পরেই সিমেন্টের অবস্থান। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হয়েছিল ২১ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন সিমেন্ট। যার রপ্তানি মূল্য ছিল প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার মেট্রিক টন সিমেন্ট। যার রপ্তানি মূল্য প্রায় ১৩ কোটি ২১ লাখ ৮৭ হাজার ১৬০ টাকা। সম্প্রতি আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

শুল্ক স্টেশন জানায়, বর্তমানে ত্রিপুরায় যেসব কোম্পানির সিমেন্ট রপ্তানি হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম ক্রাউন সিমেন্ট, সেভেন রিংস, প্রিমিয়ার, আনোয়ার, ইনসি ও শাহ সিমেন্ট। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশি সিমেন্টের গুণগত মান ভালো হওয়ার পাশাপাশি ত্রিপুরায় সিমেন্ট কারখানা না থাকায় সিমেন্টের চাহিদা বাড়ছে। বেসরকারি স্থাপনার পাশাপাশি ত্রিপুরার সরকারি স্থাপনাগুলোতেও বাংলাদেশি সিমেন্টের ব্যবহার বাড়ছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের সিমেন্ট রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রাজীব উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় সিমেন্টের রপ্তানি কমে গিয়েছিল। তবে এখন রপ্তানি স্বাভাবিক হয়েছে। দিনে ৮-১০ ট্রাক সিমেন্ট যাচ্ছে ত্রিপুরায়। এর মধ্যে ক্রাউন এবং সেভেন রিংস সিমেন্টই বেশি। আমরা চেষ্টা করছি রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়ানোর জন্য।’

ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশি সিমেন্টের পরিবেশক তারকেশ্বর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী প্রিয়নাথ সাহা বলেন, ‘ত্রিপুরায় সিমেন্ট কারখানা নেই। মেঘালয় থেকে সিমেন্ট ত্রিপুরায় আনতে গিয়ে খরচ বেশি হয়। এর চেয়ে কম দামে বাংলাদেশি সিমেন্ট পাওয়া যায়। এ ছাড়া বাংলাদেশি সিমেন্টের সরবরাহও সবসময় থাকে। সেজন্য বাংলাদেশি সিমেন্টের ব্যবহার বেড়েছে ত্রিপুরায়। এ ছাড়া আগরতলার প্রথম এবং একমাত্র ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজে ক্রাউন সিমেন্ট ব্যবহার হয়েছে। আমি নিজে আগরতলার সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় বাংলাদেশি সিমেন্ট সরবরাহ করেছি। এ চাহিদা দিনদিন বাড়ছে এবং বাড়বে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কম দামে ভালো সিমেন্ট সরবরাহ করছি। এর ফলে ত্রিপুরার বাজারে আমাদের সিমেন্ট শক্ত অবস্থান করে নিচ্ছে। মূলত রপ্তানিতে ভ্যাট না থাকার কারণে কম দামে সিমেন্ট পাঠানো যাচ্ছে। সিমেন্ট রপ্তানি আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটি নিয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। আমাদের আরও যেসব সিমেন্ট কোম্পানি আছে, সেগুলো যদি ভালো মার্কেটিং করা যায়Ñ তাহলে রপ্তানি দ্বিগুণ হবে।’

বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হয়েছিল ৩৭৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্য। আর আমদানি হয়েছিল প্রায় ৬৬ কোটি টাকার পণ্য। ওই অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ৫৬ লাখ টাকা। আর চলতি অর্থবছরে গত জানুয়ারি পর্যন্ত বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছে ২৬৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকার পণ্য। একই সময়ে আমদানি হয়েছে মাত্র ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার পণ্য। তবে আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানান বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা। আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার বলেন, বিগত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমেছে। তবে বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা এবং ডলার সংকটের কারণে রপ্তানি বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। ফলে চলতি অর্থবছরে রপ্তানি কিছুটা বেড়েছে। সিমেন্টও বেশি পরিমাণে রপ্তানি হচ্ছে। বন্দরে আসা রপ্তানিপণ্যের ট্রাকগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষানিরীক্ষা শেষ করে রপ্তানির জন্য ছাড় দিচ্ছি।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা