মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪ ২২:০১ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪ ২৩:২৭ পিএম
মো. এরশাদ উদ্দিন। প্রবা ফটো
১০ টাকা লিটার দুধ বিক্রি করে জাতীয় পর্যায়ে ভোক্তা অধিকারের সম্মাননা পাচ্ছেন মো. এরশাদ উদ্দিন। রমজান এলেই সাধারণ মানুষের কথা ভেবে ১০ টাকা লিটার দুধ বিক্রি করেন তিনি। বাংলাদেশ স্টিল মিল স্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আলহাজ মো. এরশাদ উদ্দিন। গত তিন বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও রমজানের প্রথম দিন থেকে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার রৌহা গ্রামের বাড়িতে এরশাদ উদ্দিনের প্রতিষ্ঠিত জেসি অ্যাগ্রো ফার্ম থেকে ১০ টাকা লিটার দুধ বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
আলহাজ মো. এরশাদ উদ্দিনের এই মানবিক উদ্যোগ এবার প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আলহাজ মো. এরশাদ উদ্দিনকে বেস্ট প্র্যাকটিস সম্মাননা প্রদান করবে।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
প্রসঙ্গত, মো. এরশাদ উদ্দিন নিজের নামে একটি মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশন করে এলাকার হতদরিদ্র, প্রান্তিক ও সাধারণ মানুষকে নানা ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে আসছেন। মানুষের যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করে আসছেন তরুণ এই শিল্পোদ্যাক্তা। চার বছর আগে তিনি জেসি অ্যাগ্রো ফার্ম নামে একটি গরুর খামার গড়ে তোলেন। সেখানে ৪০০টি গরু রয়েছে। যার মধ্যে ২০টি গাভি প্রতিদিন ৬৫-৭০ লিটার দুধ দিচ্ছে। রমজানের শুরু থেকে প্রতিদিন এসব দুধ এক লিটার করে সাধারণ মানুষের মাঝে টোকেন মূল্যে বিক্রি করছেন।
রোজায় দুধের দাম বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশ বেড়ে যায়। তখন বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ দুধ কিনতে পারে না। তাদের কথা ভেবে তিনি প্রতি রমজানে তার খামারে প্রতিদিন উৎপাদিত দুধ ১০ টাকা লিটার বিক্রি করেন। পুরস্কার বিষয়ে মো. এরশাদ উদ্দিন বলেন, ‘কোনো স্বীকৃতি বা সম্মাননার প্রত্যাশায় আমি এই উদ্যোগ নিইনি। আমার উদ্দেশ্য হলো সামান্য কিছুও যদি মানুষের জন্য করা যায়, মানুষ উপকৃত হবে, তাহলে আল্লাহ খুশি হবেন। আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জায়গা থেকে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করি। তাহলে আমাদের দেশকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।
‘এরপরও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আমাকে এই উদ্যোগের জন্য বেস্ট প্র্যাকটিস সম্মাননা প্রদানের বিষয়টি জানিয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি সুখবর। এ স্বীকৃতি আগামী দিনে আরও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগাবে।’