× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ইলিশের উৎপাদন ১৫ বছরে বেড়েছে ১০৫%

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪ ১২:২৬ পিএম

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৪ ১২:৩৪ পিএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

মা ইলিশ ধরা বন্ধ, জাটকা সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠাসহ নানা উদ্যোগের ফলে দেশে ইলিশের উৎপাদন অব্যাহতভাবে বেড়ে চলছে। গত ১৫ বছরে এই বৃদ্ধি ১০৫ শতাংশ হয়েছে। একই সঙ্গে গত ৪২ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৪২ লাখ মেট্রিক টন। যা প্রতি দশকের হিসাবে বেড়েছে ১০ লাখ মেট্রিক টনের কাছাকাছি। 

‘ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা, জাটকা সংরক্ষণ ও গবেষণা অগ্রগতিবিষয়ক কর্মশালায়’ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম তার মূল প্রবন্ধে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের হল রুমে এ কর্মশালার আয়োজন করে বিএফআরআই। ‘ইলিশ হলো মাছের রাজা, জাটকা ধরলে হবে সাজা’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ১১ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ। 

বিএফআরআইর মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল। বিএফআরআইর সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌসের উপস্থাপনায় কর্মশালায় বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর ও অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুর রউফ প্রমুখ।

 ইলিশের উৎপাদন সম্পর্কে ড. আশরাফুল আলম বলেন, বিশ্বের ১১টি দেশে ইলিশ পাওয়া যায়। তার মধ্যে আমাদের দেশেই ৮০ শতাংশ ইলিশ উৎপাদন হয়। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে রয়েছে। 

প্রাকৃতিক খাবার কমে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৬ সালের তুলনায় বর্তমানে মেঘনা নদীর প্রতি লিটার পানিতে প্রাকৃতিক খাবারের পরিমাণ গড়ে প্রায় ৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানিও আংশিক দূষিত হয়ে পড়েছে। যার কারণে মাছের প্রাকৃতিক খাবার কমে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়বে উৎপাদনে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ অঞ্চলে পানির প্রবাহ ২০ হাজার কিউসেক কম হলে চাঁদপুরে ইলিশের উৎপাদন কমে ২৬ শতাংশ। সেজন্য নদীতে পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে নতুন নতুন গবেষণায় নজর দেওয়া দরকার। বর্তমানে ইলিশের গতিপথ পাল্টে যাচ্ছে। নতুন কোন পথে যাতায়াত বাড়ছে তা চিহ্নিত হওয়া দরকার। 

ইলিশের উৎপাদন এত বাড়লে মাছের দাম কেন বাড়ছে এ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ইলিশের উৎপাদন প্রতি বছরই বাড়ছে। তাহলে এত দাম কেন বাড়ছে। বড় ইলিশের কেজি ২ হাজার টাকার কমে পাওয়া যায় না। অধিক দামের কারণে পাঁচ বছর ধরে আমিও ইলিশ কিনে খেতে পারছি না। কোথাও দাওয়াতে দুই-এক টুকরা দিলে সেটাই খাই। আমরা হয়তো মানুষকে বোঝানোর জন্য যুক্তি দিয়ে থাকি যে আমাদের আয় বেড়েছে, তাই চাহিদাও বেড়েছে। কিন্তু এটি তো সঠিক সমাধান নয়। ইলিশের তো খাবার প্রয়োজন হয় না। শুধু ধরার জন্য জেলেদের যা ব্যয় হয়। তাহলে কেন এত টাকা দাম হবে? তাই বাজারব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা করার দরকার আছে। 

কর্মশালায় বক্তারা জানান, ২০২৩ সালে ২২ দিন মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধকালে ইলিশের প্রজনন সফলতার হার ছিল ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ। এতে করে চলতি বছর ৪০ হাজার ৫৮৫ কোটি জাটকা ইলিশ জনতায় যুক্ত হয়েছে, যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান করেন তারা।

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির পরও দাম বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা এক সপ্তাহ বা ১০ দিন নদীতে থাকেন। এ সময় তেল খরচ হয় প্রচুর। তাতে করে তাদের ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। 

এদিকে একটি হিসাবে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশের দাম ছিল ৪০০ টাকার মতো। বর্তমানে সেই আকারের ইলিশের দাম পড়ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা