× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বাজারদর

কমার লক্ষণ নেই, বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চিনি

হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪ ০৯:৫৫ এএম

আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৪ ১০:৪৬ এএম

চিনি

চিনি

চলতি মাসের শুরুতে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বাজার খাতুনগঞ্জে প্রতি মণ চিনি বিক্রি হয়েছিল ৪ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার ৮৫০ টাকায়। আর পাইকারিতে ১২৮ টাকা। গত ৫ মার্চ সন্ধ্যায় এস আলম গ্রুপের চিনির কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় খাতুনগঞ্জে বেড়ে যায় পণ্যটির দাম। একরাতের ব্যবধানে কেজিতে বেড়ে যায় দুই থেকে তিন টাকা। ৬ মার্চ খাতুনগঞ্জে প্রতি মণ চিনি বিক্রি হয় ৫ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার ৫০ টাকায়। সেই দামেই এখন বিক্রি হচ্ছে চিনি। 

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে প্রতি মণ চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকায়। ৫০ কেজির প্রতি বস্তা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৬৫০ থেকে ৬ হাজার ৭০০ টাকায়।  

ব্যবসায়ীরা জানান, আগামীতে চিনির দাম কমার সম্ভাবনা নেই। রমজানের ঈদকে সামনে রেখে বাজারে পণ্যটির চাহিদা বাড়বে। ফলে দাম তখন আরও বেড়ে যেতে পারে। তবে কেউ কেউ বলছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দাম খুব একটা বাড়বে না। ঈদের আগেও একই দামেই বিক্রি হবে চিনি।  

জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জে চিনির পাইকারি বিক্রেতা ইবনাত ট্রেডিংয়ের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম জিসান বলেন, ‘দাম বাড়বে না কমবে সেটি নির্ভর করবে চিনির সরবরাহের ওপর। ঈদের আগে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কমে গেলে দাম বেড়ে যাবে। আর সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে। বর্তমানে বাজারে পণ্যটির সরবরাহ স্বাভাবিক। ঈদ পর্যন্ত এমনটি থাকলে দামও স্বাভাবিক থাকবে।’

দেশে বার্ষিক চিনির চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে চিনির বার্ষিক চাহিদা ১৯ লাখ থেকে ২০ লাখ টন। মাসে চিনির গড় চাহিদা ১ লাখ ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার টন হলেও গত আট মাসে চাহিদার চেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বার্ষিক ১৯ লাখ চাহিদার বিপরীতে চলতি বছরের গত আট মাসে (২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি) দেশে চিনি আমদানি হয়েছে ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৬৩০ টন। সেই হিসাবে গড়ে প্রতি মাসে পণ্যটি আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৩২৮ টন। ফলে ঈদের আগে বাজারে চিনির সরবরাহ সংকটের সুযোগ নেই।

জানতে চাইলে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আমদানি করা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ততক্ষণ পর্যন্ত কমবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত ডলারের দাম না কমছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম কম থাকলেও ডলারের বৃদ্ধির কারণে আমরা সেই সুবিধা পাচ্ছি না। ডলারের দাম কমলে সব জিনিসের দামই কমবে। 

এদিকে খাতুনগঞ্জে সমুদ্রপথে আমদানি করা চিনি প্রতি কেজি ১৩৪ টাকায় বিক্রি হলেও ভারত থেকে চোরাই পথে আসা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২৮ টাকা কেজি। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, খাতুনগঞ্জে কিছু প্রতিষ্ঠানে ভারত থেকে চোরাই পথে আনা চিনি বিক্রি হয়। সিলেটের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চিনিগুলো দেশে আসে। পরে সেখান থেকে হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে ট্রাকে নিয়ে আসা হচ্ছে খাতুনগঞ্জে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ভারত থেকে চোরাই চিনি আনলে খরচ অনেক কম। তাই অনেকে এখন চোরাই পথে পণ্যটি এনে খাতুনগঞ্জে বিক্রি করছেন। দাম কম হওয়ায় ক্রেতাও মিলছে সহজে। দেশের বিভিন্ন কোম্পানির চিনি বাজারে যে দামে বিক্রি হয়, এর চেয়ে ছয় থেকে সাত টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে চোরাই পথে আসা চিনি।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা