হুমায়ুন মাসুদ
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৪ ১৮:০৪ পিএম
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৪ ১৯:৩২ পিএম
বিক্রির জন্য চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের একটি আড়তে মজুদ পেঁয়াজ। প্রবা ফটো
রমজানকে সামনে রেখে সরকার ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার পর ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম যে ভাটাভাব দেখা গিয়েছিল তা আবারও চড়া হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এখন কেজিতে দাম বেড়েছে অন্তত ১৫ টাকা। সরকার দাম বেঁধে দেওয়ার পর গত ১৮ মার্চ খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। সেখানে সোমবার (২৫ মার্চ) প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়।
ক্রেতারা বলছেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করায় এখন বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে, এই ধরনের খবর থাকায় গত সপ্তাহে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যায়। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এখন আবারও পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন, পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, তখন বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা কমে যাওয়ায় পচে যাওয়ার ভয়ে ব্যবসায়ীরা লোকসান দিয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। কৃষক পর্যায়ে এখন পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তাই এখন খাতুনগঞ্জেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। দাম বাড়লেও গত কয়েক মাসের তুলনায় বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক কম বলে তারা জানান।
খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও এখানে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। খাতুনগঞ্জে সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আনা ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকায়। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘তখন বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ অনেক বেশি ছিল। বিপরীতে বাজারে ক্রেতা ছিল না, তাই তখন হঠাৎ করে এক দিনের জন্য বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। ওই সময় অনেকে লোকসান করেছেন। লোকসান কতদিন দেবেন। তাই এখন কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ায়, খাতুনগঞ্জে দাম বেড়েছে। তবে পেঁয়াজের বাজার এখন স্বাভাবিক রয়েছে। চাহিদা-জোগান দুটোই ঠিক আছে। আশা করছি, আগামী দুই তিন মাস পেঁয়াজের দাম এমনই থাকবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাবনায় কৃষক পর্যায়ে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। সেই হিসাবে সেখানে এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকায়। ওই ৪৫ টাকার পেঁয়াজ এখন খাতুনগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়।