এপ্রিলে ঋণে সুদহার আরও চড়া

সংকোচনমুখী মুদ্রানীতির ফলে ধারাবাহিক বাড়ছে সুদহার। ট্রেজারি বন্ডের দর বৃদ্ধির প্রভাবে বেড়ে গেছে সিক্স মান্থ মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল বা স্মার্ট রেট। এর সঙ্গে নির্ধারিত করিডোর যোগ হয়ে এপ্রিলে সুদহার সাড়ে ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। আর ভোক্তা ঋণে সুদহার হয়েছে সাড়ে ১৪ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সুদহারের করিডোর (মার্জিন) সাড়ে ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। তবু এপ্রিল থেকে ঋণের সুদহার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। নিয়ম অনুযায়ী ভোক্তাঋণে আরও বেশি দিতে হবে ১ শতাংশ। ফলে এ খাতের ঋণগ্রহীতাদের গুনতে হবে ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ সুদ। যা মার্চে ছিল যথাক্রমে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জানুয়ারিতে এই সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, আগস্টে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২০ শতাংশ। অক্টোবরে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, নভেম্বরে ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ, ডিসেম্বরে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ, জানুয়ারিতে ছিল ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং সবশেষ মার্চে স্মার্ট রেট প্রায় ১ শতাংশ বেড়ে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশে উঠেছে।

ফেব্রুয়ারির মতো মার্চেও স্মার্ট রেট বেশি বেড়ে যাওয়ায় ঋণের সুদহার মুদ্রানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতা বজায় রাখতে ঋণের সুদহার নির্ধারণের ‘স্মার্ট’ মার্জিন রেট দশমিক ৫০ শতাংশ কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে দশমিক ২৫ শতাংশ কমিয়েছিল। অর্থাৎ দুই মাসে মার্জিন কমেছে দশমিক ৭৫ শতাংশ। গতকাল রবিবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সুদহার কমানোর ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন স্মার্টের সঙ্গে ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ হবে, যা এত দিন ছিল ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি, কৃষি ও পল্লী ঋণে ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ হারে মার্জিন যোগ হবে, যা আগে ছিল ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।