৭১ কোটি টাকা পাচার
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৫৭ পিএম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৪৮ পিএম
ন্যাশনাল ব্যাংকের আলোচিত সাবেক দুই পরিচালক রন হক সিকদার, রিক হক সিকদারসহ সাতজনের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন গাইডলাইনস (জিএফইটি) লঙ্ঘন করে ভ্রমণ কোটায় ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লিমিটের অতিরিক্ত ব্যয় করে ৭১ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ কমিশনের পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মদ বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের দুই সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী ও চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, সাবেক দুই অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ ওয়াদুদ ও এএসএম বুলবুল, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড ডিভিশন মো. মাহফুজুর রহমান।
রন হক সিকদারকে প্রধান আসামি করে দায়ের করা একটি মামলায় বলা হয়, রন হক সিকদারের ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্টে ব্যালন্স না থাকা সত্ত্বেও বিধিবহির্ভূতভাবে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে সাতটি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লিমিটের অতিরিক্ত ৫০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ডলার বিদেশে ব্যয় করেন। পরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করে তা দিয়ে উক্ত ক্রেডিট কার্ডসমূহের ঋণ পরিশোধের মাধ্যমে পাচার করা অর্থ হস্তান্তর/স্থানান্তর, রূপান্তর ও গোপন করার মাধ্যমে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
রন হক সিকদারের বড় ভাই রিক হক সিকদারের নামে দায়ের হওয়া অপর মামলায় বলা হয়, ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্টের বিধি লঙ্ঘন করে ছয়টি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে লিমিটের অতিরিক্ত ২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার সমপরিমাণ ডলার ব্যয় করেন। পরে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে তা দিয়ে উক্ত ক্রেডিট কার্ডগুলোর ঋণ পরিশোধ করেন।
উভয় মামলার এজাহারে বলা হয়, রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক থাকাকালীন অবৈধ আর্থিক সুবিধা গ্রহণের লক্ষ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকের তৎকালীন অপর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লিমিটের অতিরিক্ত অর্থ বিদেশে ব্যয় দেখিয়ে পাচার করেন।
২০২০ সালের ১৯ মে ঋণের জন্য বন্ধকি সম্পত্তির মূল্য বেশি দেখাতে রাজি না হওয়ায় এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা ও বাসায় জোর করে আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগে সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা করে এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।