রাজধানীর বায়ুদূষণ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:১১ পিএম
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:১২ পিএম
রাজধানীর রাস্তায় উড়ছে ধুলোবালি। ফাইল ফটো
চলতি জানুয়ারি মাসে এক দিনও স্বাস্থ্যকর বায়ু পায়নি রাজধানীবাসী। গেল সপ্তাহজুড়ে বায়ুদূষণের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে থাকছে রাজধানী ঢাকা। রবিবারও (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার বায়ু ছিল অসহনীয় মাত্রায়। রাজধানীর পানি, বায়ু ও শব্দদূষণবিষয়ক এক গবেষণায় দেখা গেছে গেল সাত বছরে ঢাকার ৪৬ ভাগ দিন ছিল অস্বাস্থ্যকর। একই সময়ে মাত্র ৪০ দিন বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণ করেছে রাজধানীর মানুষ। গতকাল ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের আয়োজনে ঢাকা শহরের পানি, বায়ু ও শব্দদূষণবিষয়ক পরিবীক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তৃতীয় ডেটা ভ্যালিডেশন কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন নদীরক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান। গবেষণার তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহম্মদ কামরুজ্জামান মজুমদার এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক মো. রুরুল ইসলাম। প্রতিবেদনের ওপর বিশেষজ্ঞ মতামত দেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ মুনির হোসেন চৌধুরী এবং ঢাকা ওয়াসার মাইরোওলোজি ও ল্যাব প্রধান ড. আলমগীর হোসেন।
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, কনসোর্টিয়ামের দূষণ পরিবীক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে একটি স্টেট অব ঢাকা এনভায়রনমেন্ট রিপোর্ট তৈরির লক্ষ্যে ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি এলাকা থেকে শব্দ এবং বায়ু মানের নমুনা সংগ্রহ করেছে তারা। এ ছাড়া বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীর ডায়িং, নৌযান এবং ট্যানারি দূষণের চারটি এলাকা থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে। সঙ্গে নদীপারের সাধারণ মানুষ ও নাগরিক সমাজের মতামত গ্রহণ, এ-সংক্রান্ত নীতি, আইন ও উচ্চআদালতের নির্দেশনা পর্যালোচনা করে আসছে। এসব বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত ও মতামতগুলোকে ডেটা ভ্যালিডেশন কর্মশালায় উপস্থাপন করা হয়।
গবেষণাপত্রে বলা হয়, শীত মৌসুমে পুরান ঢাকা, তেজগাঁও, শাহবাগসহ রাজধানীর ১০টি স্থানে প্রতিদিনের দূষণের মাত্রা সকাল-বিকাল পরিবর্তন হচ্ছে। ২০২১ সালের মে থেকে ২০২২ সালের মে পর্যন্ত এক বছরে রাজধানীতে অতি ক্ষুদ্র ধূলিকণা পিএম ২.৫-এর মাত্রা ছিল ৯০ মাইক্রো গ্রাম। ২০২৩ সালে এসে তা আরও বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মানুষের জন্য পিএম ২.৫ মানমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৫ মাইক্রোগ্রাম।