প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:২০ পিএম
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:০১ পিএম
শব্দদূষণ কমাতে করণীয় নিয়ে কথা বলেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা। প্রবা ফটো
শব্দদূষণ কমাতে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের গণপরিবহনে চলাচলের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্ববান জানান। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় সচেতনামূলক এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে পরিবেশ অধিদপ্তর।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকীর সভাপতিত্বে ও আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদারের সঞ্চলনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি।
খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বলেন, ‘শুধু সরকার নয় জনগণকে সচেতন হতে হবে। চালকদের সচেতনতামূলক শিক্ষা দিতে হবে। ট্রাফিক পুলিশের কাজের পরিধি বাড়াতে হবে। শব্দদূষণ কমাতে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।’
বিশেষ অতিথি ছিলনে, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রবিউল আলম, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবির।
জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় মানবসৃষ্ট শব্দদূষণের কারণগুলা উঠে আসে। কীভাবে শব্দদূষণ কমানো যায় সেসব বিষয়ে কথা বলেন অতিথিরা।
আবু নাসের খান বলেন, ‘সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আইনের প্রয়োগ করতে হবে। শব্দদূষণ আইন ২০০৬ পরিবর্তন করে সময়োপযোগী করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর লোকবল বাড়াতে হবে। ঢাকাসহ সারাদেশে যুগোপযোগী গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। কারণ ঢাকার ৭০ ভাগ রাস্তা দখল কের রাখে ব্যক্তিগত গাড়ি, যা শহরের মাত্র ৫ শতাংশ মানুষের পরিবহন করে।’
তিনি সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের গণপরিবহনে চলাচলের আহ্বানও জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ আলী নকী বলেন, গাড়ির ড্রাইভাররা এক একটা বাঘের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। শব্দকে নির্দিষ্ট সময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে শব্দ দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যারা শব্দদূষণ করবে তাদের উপর আইনের প্রয়োগ করতে হবে। যারা দূষণ কমাতে কাজ করছে তাদের পুরস্কৃত করতে হবে।
সভায় ইকিউএমএস কনসালটিং লিমিটেড এবং বায়ুমন্ডল দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) গবেষণা থেকে কিছু তথ্যচিত্র তুলে ধরেন বক্তারা। নীরব, আবাসিক, মিশ্র, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকা- এমন পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দেশে জরিপ চালিয়ে এ গবেষণা করা হয়।