প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:৩৩ এএম
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বলাৎকারের শিকার হয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হাফেজ শরিফুল ইসলাম আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। গেল সোমবার মধ্যরাতে পূর্ব রসূলপুর ৯ নম্বর গলির মক্কা টাওয়ারের ৬ তলায় এক ফ্ল্যাটের কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে কামরাঙ্গীরচর থানা। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আশরাফুল হক মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, শরিফুল ইসলামের পায়ুপথ অস্বাভাবিক। পায়ুপথ দেখে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে, তিনি পায়ুপথ দিয়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। বিষয়টি কাউকে বলতে না পেরে নিজ বাসার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রয়োজন।
তবে পরিবারের দাবি, তাদের সঙ্গে অভিমান করে শরিফুল আত্মহত্যা করেছেন। তার বাবা আমির হোসেন বলেন, আমার ছেলে কামরাঙ্গীরচর নুরিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল। ঠিকমতো পড়াশোনা করত না। আমি বকা দেওয়ায় অভিমান করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর বাইরে আমার আর কিছু জানা নেই।
শরিফুলের বড় ভাই শাহিন হাসান বলেন, গত শুক্রবার আমার ভাইয়ের হাফেজি পড়া শেষ হয়। ওই রাতেই সে বাড়িতে আসে। সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। সোমবার বিকালে বাবা তাকে আবার মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বললে তখন সে জানায়, আজ সে মাদ্রাসায় যাবে না। এ নিয়ে বাবার সঙ্গে তার মনোমালিন্য হয়। রাত ১০টার দিকে নিজ কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয় সে।
তিনি বলেন, যৌন নিপীড়নের বিষয়টি পুলিশের মাধ্যমে কিছুটা শুনেছি। বিস্তারিত জানা নেই। এর আগে সে মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মারধর করার কথা জানিয়েছিল। ওই সময় মারধরের ঘটনাটি কাউকে জানাতেও নিষেধ করেছিলেন শিক্ষকরা।
এদিকে গত সোমবার রাতে কামরাঙ্গীরচরে পরিবারের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে মো. হাছিব নামে ব্যাটারিচালিত এক অটোরিকশাচালক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই অনিরুদ্ধ রায় বলেন, সোমবার রাত ২টার দিকে খবর পেয়ে ঝাউচর আমরা টাওয়ার গলির এক বাসা থেকে হাছিবের মরদেহ উদ্ধার করি। নিজ বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।