ভেজাল জুস তৈরি
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২২ ১৬:২৯ পিএম
আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২২ ১৮:১২ পিএম
আমিনবাজারে একটি জুস কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল জুস জব্দ করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি : প্রবা
সাভারের আমিনবাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল জুস, বিস্কুট ও কেক তৈরি এবং বাজারজাত করার অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার ( ২৯ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে বিকাল পর্যন্ত শাপলা ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ ও তাজমহল ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।
র্যাব-৩-এর অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম।
র্যাব জানায়, অনুমোদনবিহীন শাপলা ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে ফ্রুটি নামে ভেজাল জুস তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল। এ ছাড়া তাজমহল ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট কারখানাটিও অবৈধভাবে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর বিস্কুট, কেক তৈরি করে বাজারজাত করছে। কারখানা দুটিতে ভেজাল জুসের কালার, বিভিন্ন প্রকার ভেজাল ফ্লেবার এবং ভেজাল কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে জুস, বিস্কুট ও কেক তৈরি করত--যা শিশুসহ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
বিকালে র্যাব-৩-এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানান, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে সাভারের আমিনবাজারে দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর ও ভেজাল জুস, বিস্কুট ও কেক উৎপাদন এবং বিক্রয় করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুটি কারখানায় অভিযান চালানো হয়। কারখানা দুটির কোনো অনুমোদন ছিল না।
তিনি বলেন, শাপলা ফুডস এবং তাজমহল ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অস্বাস্থ্যকর ও ভেজাল জুস, বিস্কুট, কেক উৎপাদন এবং বিক্রয় করার অপরাধে শাপলা ফুডসের ম্যানেজার সুমন এবং তার সহযোগী আমজাদ ও মেহেদী হাসানকে ১ লাখ টাকা করে মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া তাজমহল ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরির ম্যানেজার ফোরকান উদ্দিন ও মজিবুর রহমানকে ২৫ হাজার টাকা করে দুজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কারখানা দুটিতে ভেজাল জুসের কালার, বিভিন্ন প্রকার ভেজাল ফ্লেবার এবং ভেজাল কেমিক্যাল ব্যবহার করে জুস, বিস্কুট ও কেক তৈরি করা হতো--যা শিশুসহ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ঘটনায় কারখানা দুটি থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল জুস, বিস্কুট ও কেক জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে জব্দকৃত ভেজাল এসব খাদ্য ধ্বংস করে ফেলা হয়। জরিমানা ছাড়াও আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রবা/আরএম/এমআই