প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩১ পিএম
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৬ পিএম
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। প্রবা ফটো
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এখন পর্যন্ত জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। এ সংক্রান্ত বাহিনীর কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নেওয়া সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আদালতপাড়া থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাই হওয়ার ঘটনার পর এখন পর্যন্ত জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। এছাড়া আদালতপাড়া থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ১২ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধুমাত্র ওই দুইজনকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। আমাদের টিম তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।’
শহীদ মিনারে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার জন্য পলাশী থেকে শুরু করে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত সমগ্র এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসছি। পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে পুরো এলাকায় সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরদারিতে রাখা হবে। আমাদের আর্চওয়ে থাকবে, সেটা দিয়ে শহীদ মিনারে আসা মানুষকে সার্চ করা হবে। কোনো ব্যাগ কিংবা জিনিসপত্র নিয়ে আসবেন না, আমরা এগুলো নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেব না।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দুইটা ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও কূটনৈতিক ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তারা দোয়েল চত্বর দিয়ে প্রবেশ করবেন না। সাধারণ জনগণ পলাশী দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং দোয়েল চত্বর হয়ে চলে যাবেন। অর্থাৎ এক দিক দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং অন্য দিক দিয়ে বের হয়ে যাবেন।’
গোলাম ফারুক বলেন, ‘করোনা পরবর্তী সময়ে উন্মুক্ত পরিবেশে এবার মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনারে আসবেন। রাজধানীর সর্বস্তরের মানুষ শহীদ মিনারে আসবেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও আমাদের সহযোগিতা করছে।’
তিনটা ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম ভাগ– ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা; দ্বিতীয় ভাগ– ২১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা থেকে দুপুর ২টা; তৃতীয় ভাগ– ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানিসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।