প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:১৭ পিএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৩১ পিএম
শুক্রবার ঢাকার শাহবাগে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত মশাল মিছিল। প্রবা ফটো
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থবান্ধব অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ নেবেন। আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকার শাহবাগে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতৃত্বাধীন সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা আয়োজিত মশাল মিছিলের আগে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব অঙ্গীকারসমূহ বাস্তবায়নের দাবিতে চলমান আন্দোলনের পঞ্চম কর্মসূচি হিসেবে ঢাকাসহ সারা দেশে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশে বঞ্চনা, বৈষম্য, নিগৃহ ও নিপীড়নের শিকার হতে চাই না। প্রধানমন্ত্রীর সক্রিয় উদ্যোগের জন্য আমরা অপেক্ষা করব। এসব নিয়ে মার্চ থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ৮টি বিভাগীয় শহরে আমাদের সংগঠনের প্রতিনিধি সমাবেশ করা হবে।’
সমাবেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ঊষাতন তালুকদারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সভাপতি অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, নির্মল রোজারিও, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজল দেবনাথ, মিলন কান্তি দত্ত, রঞ্জন কর্মকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, শ্যামল কুমার রায়, কিশোর রঞ্জন মণ্ডল, রবীন্দ্রনাথ বসু, সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী, পদ্মাবতী দেবী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাপ্পাদিত্য বসু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মাত্র ১০ মাস বাকি আছে। অথচ ক্ষমতাসীন দলের (আওয়ামী লীগ) ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘু-আদিবাসী স্বার্থবান্ধব প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নে এখনও কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। যা এ দেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের জন্য খুবই হতাশার।
দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষার দাবিতে ২০১৫ সালে জনসমাবেশ করেছিল সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সেই সমাবেশে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে তারা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইশতেহারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ‘সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব’ কিছু বিষয় যোগ করেছিল। এরমধ্যে রয়েছে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি, পার্বত্য ভূমি কমিশন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি আইন প্রণয়ন এবং সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন। এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এ নিয়ে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে একবার বৈঠকও করেছিল তারা।