বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৯ পিএম
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৪২ পিএম
বাহাদুর শাহ পার্ক। সংগৃহীত ছবি
পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্কে নির্মিত বাণিজ্যিক স্থাপনা ও খাবারের দোকান সরানোর দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তারা পার্কের ইতিহাস তুলে ধরতে জাদুঘর স্থাপনের দাবিও জানান।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় পার্কের মুক্তমঞ্চে ‘ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক ও পার্কের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদ’ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ছাত্র নেতারা এ দাবি জানায়।
ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি জহর লাল রায় বলেন, বাহাদুর শাহ পার্ক বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের উজ্জ্বল সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শোষণ, বঞ্চনা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলনের প্রতীক হয়ে আছে। সেখানে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করে এর ইতিহাসকে ধুলিস্মাৎ করে দেওয়ার চিন্তা আমাদের বন্ধ করতে হবে। প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলনের স্মৃতি ধরে রাখতে এমন কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। পার্কে নির্মিত খাবারের দোকান ও ইটপাথরের স্থাপনা দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান বলেন, পুরো ঢাকা শহরেই এখন খুব বেশি উন্মুক্ত জায়গা নেই। খেলার মাঠ নেই, পার্ক নেই। এখন সব দখল করে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। মাঠ রক্ষার নামে মানুষের প্রবেশ সীমিত করা হচ্ছে। বাচ্চারা খেলার জায়গা পাচ্ছে না, পার্কে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। এভাবে চললে একটা সুস্থ মস্তিষ্কের প্রজন্ম গড়ে উঠতে পারবে না। সরকার এবং সিটি করপোরেশন সবাইকেই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একশ্রেণির সুযোগসন্ধানী লোক বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে এসব সুযোগ নিচ্ছে। এ ব্যাপারে সবাইকেই সচেতন হতে হবে, প্রতিবাদী হতে হবে। পার্কে বসার, হাঁটাচলা করার সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় পার্কের ইতিহাস রক্ষায় জাদুঘর নির্মাণের দাবি জানান নেতারা। জাতীয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌফিক হাসান পাপ্পু বলেন, ১৮৫৭ সালের শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় যে স্মৃতিফলক এখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে তা পুনরায় স্থাপন করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে ইতিহাস তুলে ধরতে পার্কে একটি জাদুঘর নির্মাণ করতে হবে। যাতে সেখান থেকে আমাদের শহীদদের, আন্দোলন সংগ্রামে এই পার্কের যে অবদান তা তারা জানতে পারে।
কাজী রায়হান জামিলের সভাপতিত্বে ও আক্তারুজ্জামান খানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ইভান তাহসিব প্রমুখ।
এসময় বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।