গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৩ ২১:৫৫ পিএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৩ ২২:১২ পিএম
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তরুণ জলবায়ু কর্মীরা প্ল্যাকার্ড হাতে জলবায়ু ধর্মঘট করেন। ছবি : ফোকাস বাংলা
উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে। তারা নব্য ঔপনিবেশিক শোষণ, যুদ্ধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে এই পৃথিবীকে ধ্বংস করছে। এ অবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে টেকসই প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহ্বান এসেছে গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে। শুক্রবার (৩ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এই আহ্বান জানান স্ট্রাইকে অংশগ্রহণকারীরা।
একশনএইড বাংলাদেশ এই আয়োজন করেন। জলবায়ু সংকট নিরসন, এ বিষয়ে ন্যায়বিচার দাবি ও জনগণকে সচেতন করতে একশনএইড বাংলাদেশ ও অ্যাক্টিভিস্তা বাংলাদেশসহ ২৪টির বেশি সংগঠনের শতাধিক তরুণ স্ট্রাইকে অংশ নেন। একই সময় সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বরগুনাসহ বাংলাদেশের ২৬টি জেলায় এবং সাতটি লোকাল ইয়ুথ হাবে তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরাও গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে অংশ নেন।
একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘ফসিল-ফিন্যান্স-প্রবণতা ক্রমবর্ধমান পুঁজিবাদী মানসিকতার একটি প্রধান উদাহরণ, যেখানে মানুষের চেয়ে মুনাফাই মুখ্য। এটি পৃথিবীতে বাস্তুতন্ত্র এবং জলবায়ুকে মারাত্মকভাবে ধ্বংস করছে। ফলে বিরুপ প্রভাব পড়ছে দক্ষিণের দেশগুলো এবং প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলোতে। আমরা যদি এখনই সোচ্চার না হই তবে নিকট ভবিষ্যতে আমাদেরকে বড় দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে।’
জলবায়ুকর্মী এস এম জান্নাতুল নাঈম বলেন, ’প্রতিবছর উপকূলীয় অঞ্চলে পানি বাড়ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও বাসযোগ্য পৃথিবীর জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করা বাঞ্ছনীয়। যত তাড়াতাড়ি এ কাজ করা যাবে তত তাড়াতাড়ি পৃথিবী সুরক্ষিত হবে। জলবায়ু আন্দোলনকারীরা বলেন, পুঁজিবাদী মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারীরা জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
এর প্রভাব পড়ছে মূলত দক্ষিণের দেশগুলোতে। এটি অনুন্নত দেশগুলোর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের কাছে তাদের পরিবেশগত ঋণ বহুগুণ বাড়িয়ে তুলছে। তারা সর্বোচ্চ কার্বন নির্গমনকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও দেশগুলোর কাছে অবিলম্বে জীবাশ্ম-তহবিল বন্ধ করাসহ জলবায়ু সংকটের কারণে ঝুঁকিতে থাকা সম্প্রদায়গুলোর জন্য লস অ্যান্ড ড্যামেজে অর্থায়ন নিশ্চিত করার দাবি জানান। স্ট্রাইকে যোগ দেওয়া জলবায়ু আন্দোলনকারীরা ‘টুমরো ইজ ঠু লেট টু অ্যান্ড দ্য ফসিল ফিন্যান্স’, ‘জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করো’, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করো’ ইত্যাদি লেখা ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেন।