× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বায়ুমান নিয়ে আজও দূষিত শহরের শীর্ষে ঢাকা

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৩ ০৯:৫১ এএম

আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৩ ১০:৫৬ এএম

বিশ্বে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় প্রায়ই শীর্ষে থাকা ঢাকার বাতাস আজও ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলছে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স। ফাইল ছবি

বিশ্বে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় প্রায়ই শীর্ষে থাকা ঢাকার বাতাস আজও ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলছে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স। ফাইল ছবি

দিন দিন যেন ঢাকায় নির্মল বাতাস পাওয়া দুরূহ হয়ে পড়ছে। চলতি মাসের প্রথম চারটি দিনই গেল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে থেকে। শনিবার (৪ মার্চ) সকালে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকার স্কোর ২৫০। অর্থাৎ জনবহুল এ শহরের বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।

২০৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুম্বাইয়ের বায়ুর মানও একই। ১৯৩ স্কোর নিয়ে চীনের উহান তৃতীয় ও ১৯০ স্কোরে চতুর্থ স্থানে রয়েছে থাইল্যান্ড।

বিপরীতে শূন্য স্কোর নিয়ে নরওয়ের অসলো ভালো বায়ুর শহরের শীর্ষে রয়েছে। চার স্কোর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সল্ট লেক সিটি ও অস্ট্রেলিয়ার ক্যানভেরা এবং সিডনি দ্বিতীয় স্থানে আছে।

গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ২২৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে ছিল ঢাকা। আগের দিন ২ মার্চ ২৯৭ এবং পহেলা মার্চ ১৯৯ স্কোর নিয়ে এ তালিকায় শীর্ষ স্থান দখলে রেখেছিল জনবহুল ঢাকা।

বায়ুদূষণ নিয়ে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাংকের ‘ব্রিদিং হেভি : নিউ এভিডেন্স অন এয়ার পল্যিউশন অ্যান্ড হেলথ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণায় বলা হয়, ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রতি বছর বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ এবং ঢাকা দ্বিতীয় দূষিত শহর ছিল। বায়ুদূষণকে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে মৃত্যু এবং অক্ষমতার দিকে নিয়ে যাওয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম ঝুঁকির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বাংলাদেশে বছরে কমপক্ষে ৮০ হাজার মানুষ বায়ুদূষণের কারণে মারা যায়। ঢাকায় সারা দিনে একজন যে পরিমাণে দূষিতবায়ু গ্রহণ করে তা প্রায় দুইটি সিগারেটের সমান ক্ষতি করে।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, বায়ুদূষণে উল্লেখযোগ্যভাবে মানুষের শ্বাসকষ্ট, কাশি, শ্বাসনালির সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি বাড়ছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক এবং রোগে আক্রান্তরা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন।

দূষণের উৎস

দূষণের প্রধান উৎস হিসেবে তিনটি খাতকে চিহ্নিত করা হয়। যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটার চুল্লি দিয়ে নির্গত কালো ধোঁয়া এবং শুষ্ক মৌসুমে অবকাঠামো নির্মাণ ও মেরামতের কারণে সৃষ্টি হওয়া ধুলা ও ইটভাটার ধোঁয়া। বলা হয়েছে, যানজট ও নির্মাণাধীন প্রকল্পের কারণে যে পরিমাণ বায়ুদূষণ হয়, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বায়ুমানের চেয়ে ১৫০ শতাংশ বেশি এবং ইটভাটার কারণে যে দূষণ হয় তা ১৩৬ শতাংশ বেশি।

ঢাকার বাতাসে হেভি মেটাল

ঢাকার স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হচ্ছে অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও নির্মাণকাজের মাধ্যমে। বায়ূদূষণের জন্য নির্মাণ খাত ৩০ শতাংশ দায়ী। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বায়ূদূষণ হচ্ছে ইটভাটা ও শিল্পকারখানার মাধ্যমে; যার হার ২৯ শতাংশ। বায়ুদূষণের তৃতীয় সর্বোচ্চ কারণ হলো যানবাহনের কালো ধোঁয়া। এই হার শতকরা ১৫ শতাংশ।

ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘২০২১ সালে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থানের বায়ুমান নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। সেখানে ঢাকার বাতাসে লেড ও মার্কারির মতো হেভি মেটালও পেয়েছি। লেডের উপস্থিতি আশঙ্কাজনক। ঢাকার বাইরের বাতাসেও এটা পাওয়া যাচ্ছে। আর এর সঙ্গে আছে ধূলিকণাও।

‘প্রধানত অপরিকল্পিত নগরায়ণ, নির্মাণকাজ ও উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ম না মেনে করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। আর আমরা ভবন নির্মাণ করছি কোনো নিয়ম না মেনেই। গাছপালা রাখছি না। ফলে দূষণ আরো বাড়ছে। আর নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা