শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত হয় নারীদের অধিকার ও প্রাসঙ্গিক আইন (স্বাধীনতা-উত্তর ৫১ বছরের মূল্যায়ন) শিরোনামে গোলটেবিল বৈঠক। সংগৃহীত ফটো
স্বাধীনতার পরে দেশে অনেক আইন হয়েছে। নারীদের সুরক্ষায় নেওয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ। তবু তাদের অধিকার পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নারী অধিকারের বিষয়ে যতটুকু অর্জন হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। বরং নিজ ঘরেই অনেকে এ বৈষম্যের শিকার হন। এ জন্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি নারীদেরকেও সচেতন করে তুলতে হবে। এ নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার ও শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে।
শনিবার (৪ মার্চ) রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নারীদের অধিকার ও প্রাসঙ্গিক আইন (স্বাধীনতা-উত্তর ৫১ বছরের মূল্যায়ন) শিরোনামে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফ্ল্যাড) ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনের যৌথ উদ্যোগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দম্পতির বিচ্ছেদের সময় সন্তানের জিম্মার বিষয়ে বিচারকের কেমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ- এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাইমা হক বলেন, ‘কোনো দম্পতি বিচ্ছেদের আবেদন করলে তখন তাদের সন্তান কার জিম্মায় দেওয়া উচিৎ; সামাজিক ও মানসিক পরিস্থিতি বোঝার জন্য বিচারকদের এ ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় এখনি সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ড. মো. শাহজাহান বলেন, ‘নারী অধিকারের বিষয়ে সচেতন হতে হলে শিক্ষার বিষয়ে জোর দিতে হবে। তবে সেটি যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হতে হবে তা কিন্তু না। এ ছাড়া এক্সেস টু জাস্টিস নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি আর্থিক সক্ষমতা থাকলে বিচারিক সিস্টেমে আমরা প্রবেশ করতে পারব। তবে সবকিছুর মূলে আমাদের সচেতন হতে হবে। পত্র-পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করতে হবে।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে আমরা অনেক আইন পেয়েছি। মানবপাচার, পারিবারিক সহিংসতা নিরোধসহ প্রভৃতি বিষয়ে অনেক আইন এসেছে। আইনের আওতায় এসেও নারী অধিকারের বিষয়ে যতটুকু অর্জন হওয়ার কথা ছিল তা কিন্তু আমরা পাইনি। দেখতে পাচ্ছি সচেতনতার অভাবে অনেকাংশে আমাদের অর্জনের জায়গাটিও দিন দিন কর্তন করা হচ্ছে। যৌন হয়রানি রোধে একটি গাইডলাইন ছিল যা আইনে রূপান্তর করা হয়নি। এভাবে অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে আমাদের কাজ করার আছে। তবেই হয়তো নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব করতে পারব।’
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘আইন আছে ঠিক। কিন্তু আমরা বাবা-ভাই-ছেলেদের কাছ থেকেই উপযুক্ত সম্মান পাই না। তাই নারীর প্রতি বৈষম্য হয়তো পুরোপুরি দূর করতে পারব না। কিন্তু কমিয়ে আনতে পারব। এ জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাই আসুন ঘর থেকেই এই সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ শুরু করি।’
বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিবেদক উদিসা ইসলাম বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে কাজ করার সময় আমরা নির্যাতিত নারীদের দেখতে পাই। আইন আছে বাস্তবায়ন নেই; এ কথাটা সব সময় শুনতে পাই। আমার মনে হয়, এসব বিষয়ে আমাদের করণীয়, সম্ভবপর কাজগুলো কী সে বিষয়ে একসঙ্গে বসে সব ঠিক করা। সেক্ষেত্রে ফ্লাডের সঙ্গে গণমাধ্যমের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছি।’
ফ্লাডের পরিচালক ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলমের সঞ্চালনা ও ফ্লাডের চেয়ারম্যান আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মলয় সাহা।
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.