সারাদেশে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দামের অস্থিরতা নিরসনে সরকারের হস্তক্ষেপে যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার দাবি করেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের খামারিরা।
রবিবার (৫ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন খামারিরা। এ সময় লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব খন্দকার মো. মহসিন।
খামারি নেতারা জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ পড়ছে ১৬৭ টাকা, যেখানে খামারি বিক্রি করছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। ঢাকার বাজারে এই মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এই দাম যৌক্তিক পর্যায়ে নেই। অন্যদিকে প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ হচ্ছে ১১টাকা ৭১ পয়সায়। তবে খামারি লোকসান দিয়ে বিক্রি করছে ৯ টাকা ৪৫ পয়সায়। এটাও যৌক্তিক দামে বিক্রি হচ্ছে না।
অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব খন্দকার মো. মহসিন বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির মধ্যে ডিম ও মুরগির মাংসের খুচরা দাম নিয়ে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। দীর্ঘদিন খামারিরা ভালো দাম না পাওয়ার কারণে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। বর্তমানে এক লাখ ৫৮ হাজার খামারের মধ্যে ৯৫ হাজার ৫২৩টি খামার রয়েছে। লোকসানের মুখে পড়ে এগুলোও বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে। ফলে প্রতিদিনের মুরগির উৎপাদন সক্ষমতা পাঁচ হাজার ২৭৩ মেট্রিক টন থেকে কমে ৪ হাজার ২১৯ মেট্রিক টনে নেমেছে। অর্থাৎ মাংসের উৎপাদন কমেছে ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। একইভাবে ডিমের উৎপাদন প্রতিদিন ৬ দশমিক ৬৪ কোটি পিস থেকে কমে ৪ দশমিক ৩২ কোটি পিসে নেমেছে। যেখানে উৎপাদন কমেছে ২৫ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন লোকসানের কারণেই খামার বন্ধ হযে যাচ্ছে। বাজারে যে দাম সেটাও যৌক্তিক না। আমরা চাই এই অস্থিরতরা না থাকুক। এ কারণে ২০১০ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রধান করে যে দাম নির্ধারণ কমিটি করা হয়েছে তাদের কাছে দাবি- তারা উৎপাদন খরচ বিবেচনায় নিয়ে মাসে অন্তত দুবার যেন যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দেয়। তাতে করে বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে।
অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার মনির আহম্মেদ বলেন, এখন মুরগির যে উৎপাদন খরচ তার থেকে ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভে খামারি মাংস বিক্রি করলে সেটা হবে যৌক্তিক দাম। এ ছাড়া একটা ডিমের উৎপাদন খরচ থেকে ২৫ থেকে ৫০ পয়সা বেশি হলেই খামারিরা টিকে থাকতে পারবে। এ জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ দরকার।
তিনি বলেন, ফিড, বিদ্যুৎ বিল, মেডিসিনসহ সব কিছুর দাম এখন চড়া। এই অবস্থায় সরকারের উচিত আসলে দাম কতো হওয়া উচিত সেটা বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ঠিক করা।
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.