সায়েন্স ল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণ জমে থাকা গ্যাস থেকে : সিটিটিসি

রাজধানীর মগবাজারে ২০২১ সালে ‘রাখি নীড়’ ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনার মতোই ‘সুয়ারেজ লাইনে জমে থাকা গ্যাসে’ সায়েন্স ল্যাবের দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) ডিসপোজাল ইউনিটের।

রবিবার (৫ মার্চ) সায়েন্স ল্যাব এলাকার মিরপুর রোডের বিস্ফোরণস্থল ভবন পরিদর্শন শেষে ডিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও  সিটিটিসির বোমা ডিসপোজাল দলের প্রধান রহমত উল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সায়েন্স ল্যাবে বিস্ফোরণটি দুর্ঘটনা, কারণ এখনও নিশ্চিত নয় : ডিএমপি কমিশনার

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনাটি ২০২১ সালে ঘটে যাওয়া মগবাজারের বিস্ফোরণের মতো গ্যাস থেকে সৃষ্ট একটি বিস্ফোরণ।’

‘ভবনটিতে কোনো না কোনোভাবে গ্যাস জমে ছিল। জমে থাকা গ্যাসের গণমাত্রা যদি ৫-১১ হয়, এটা যদি ট্রিগার হয় তাহলে এই ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। এই ট্রিগার সুইচের মাধ্যমে, ফ্যানের সুইচ ও এসির সুইচের মাধ্যমেও হতে পারে। এটা গ্যাস থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণ হতে পারে। আর এত বড় বিস্ফোরণ গ্যাস থেকে সৃষ্টি হয়।’

সায়েন্সল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণ: নিহত ৩, হাসপাতালে ১৩

এর আগে ভবনটিতে বিস্ফোরকের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তাই বিস্ফোরণটি প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন তারা। তবে বিস্ফোরণের কারণ এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।

সায়েন্সল্যাবে বিস্ফোরণে উড়ে গেল ভবনের দেয়াল, আগুন

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৭ জুন রাজধানীর মগবাজারে ‘রাখি নীড়’ ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জনের মৃত্যু হয়। ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকা কেঁপে উঠেছিল। জমে থাকা গ্যাসে আগুনের স্পার্ক থেকে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল বলে জানিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।