× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও উন্নততর সংস্থান নিশ্চিতে সমঝোতা সই

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩ ২০:৩৬ পিএম

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও উন্নততর সংস্থান নিশ্চিতে সমঝোতা সই

ভূগর্ভস্থ পানির উন্নততর সম্পূরণ এবং ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য বৃষ্টির পানি সংগ্রহ প্রযুক্তি রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং টেকনোলজি কেন্দ্রিক একটি প্রকল্প পরিচালনার জন্য ওয়াটারএইড এবং সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজডের (সিআরপি) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সম্প্রতি ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান এবং সিআরপির নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতায় স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়কারী ভ্যালেরি টেইলর, ওয়াটারএইডের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক মো. খায়রুল ইসলাম, সিআরপির চিফ অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন শাহ মো. আতাউর রহমান, ওয়াটারএইডের পলিসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির পরিচালক পার্থ হেফাজ শেখ উপস্থিত ছিলেন।

‘প্রমোটিং ওয়াটার রিপ্লেনিশমেন্ট অ্যান্ড ওয়াশ সার্ভিসেস’ শিরোনামের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ভূগর্ভস্থ পানির উন্নততর সম্পূরণ এবং এর টেকসই ব্যবহার বিধান নিশ্চিতকরণসহ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বৃষ্টির পানি সংগ্রহ প্রযুক্তি প্রতিস্থাপন করা। এছাড়া প্রতিস্থাপন পরবর্তীকালে প্রত্যাশিত সুবিধাগুলো চালু রাখার জন্য ফলপ্রসূ কার্যপ্রক্রিয়া এবং রক্ষণাবেক্ষণ অবকাঠামো নির্মাণ করা।

পাঁচ বছর মেয়াদী এই উদ্যোগটি ২০২৮ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ পানির পরিস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে শুষ্ক মৌসুমে শতকরা ২৬ ভাগ পানি সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেবে, অন্যদিকে পানির চাহিদা বৃদ্ধি পাবে ২৫০ গুণ। এই ঝুঁকির বিপরীতে, দেশে প্রতি বছর ১২৭ লাখ লিটার পর্যন্ত বৃষ্টির পানি সংগ্রহের সম্ভাবনা রয়েছে, যার মধ্যে প্রতি বছর ৯৩ লাখ লিটার পানি পুনরায় ভূগর্ভে ফেরত যাবে এবং ৩৪ লাখ লিটার পানি পান করা ছাড়া অন্যান্য কাজে নিরাপদে ব্যবহার করা যাবে। 

ওয়াটারএইড এবং সিআরপি’র এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য কার্যকরী রিসাইক্লিং কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানির পর্যাপ্ত সম্পূরণ নিশ্চিত করা এবং জনসাধারণের মাঝে এ সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃষ্টির পানির বিবিধ ব্যবহার প্রবর্তন করা। পাশপাশি, সিআরপিকে স্থানীয় পর্যায়ে বৃষ্টির পানি ব্যবস্থাপনা এবং একুইফার রিচার্জ পরিচালনা সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জনের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য। সিআরপি’র আওতায় চিকিৎসাধীন ব্যক্তিসহ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী হবেন।

ওয়াটারএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘বৃষ্টির পানির মতো মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ সংস্থান এবং একে সাধারণের উপকারে ব্যবহারোপযোগী করে তোলার জন্য চাই সম্মিলিত পদক্ষেপ।ওয়াটারএইড বিশ্বাস করে, এ ধরনের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভূগর্ভস্থ পানির উন্নততর সম্পূরণ নিশ্চিতের মাধ্যমে দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। এই পাঁচ বছর মেয়াদী অংশীদারিত্বের শুরুটা হচ্ছে দ্য কোকা কোলা ফাউন্ডশেনের অর্থায়নে ভূগর্ভস্থ পানির পর্যাপ্ত সম্পূরণ নিশ্চিত করে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও  বিবিধ ব্যবহার (পান করা ব্যতিরেকে) প্রবর্তন করার মধ্য দিয়ে।  সিআরপি’র সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারিত্ব সাভারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্যও অনুরূপ কিছু করার উদাহরণ তৈরি করবে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’

সিআরপি’র নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বলেন, ‘ওয়াটারএইড’র সঙ্গে অংশীদারিত্ব আমাদের পরিবেশ-সংক্রান্ত পোর্টফোলিওকে আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগ এনে দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের কর্মীদের সক্ষমতা বিকাশের সুযোগকেও কাজে লাগাতে চাই। আমরা পরিবেশ-বান্ধব এবং টেকসই উন্নয়নমুখী চর্চায় সকলকে উৎসাহী করে তোলার ব্যপারে আগ্রহী, যা সিআরপিকে শুধুমাত্র একটি সবুজ ক্যাম্পাস হিসেবেই রূপান্তরিত করবে না, বরং অন্যান্য অংশীজনদের সামনে আমাদেরকে আদর্শ উদাহরণ হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করবে।

ভ্যালেরি টেইলর বলেন, ‘ওয়াটারএইডের সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারিত্ব সাভারের সিআরপির ক্যাম্পাসকে সবুজায়ন করতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে।’

সাভারের চাপাইনে অবস্থিত সিআরপি মূলত শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং অর্থনৈতিক দিক সমূহে গুরুত্ব দিয়ে রোগীদের চিকিত্সা, পুনর্বাসন এবং সহায়তা পরিষেবা প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো’র আওতায় নিবন্ধিত।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা