প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৩ ২০:০১ পিএম
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩ ২০:৪১ পিএম
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। প্রবা ফটো
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। তাদের দাবি, সংঘর্ষের পর আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। যা মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন। এজন্য ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, হামলাকারীদের দ্রুত বিচার, জবাবদিহিতা ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার (১৩ মার্চ) রাজধানী ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় সংগঠনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খান, সমন্বয়কারী তামান্না হক রিতী, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, স্টেপ টি ওয়ার্ডসের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, ব্লাস্টের অনারারি নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন প্রমুখ।
হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের দাবিগুলো হলো, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে হামলায় জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত; হামলার শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিরপেক্ষ তদন্ত করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত; আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত; এই সম্প্রদায় নিয়ে ঘৃণা ছড়ানো ও হামলায় প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জনগনকে জানানো; আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়া হলে দ্রুত তদন্তসাপেক্ষে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আগেকার সব হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার বিচারের অগ্রগতি জনসম্মুখে প্রকাশ করা।
লিখিত বক্তব্যে তামান্না হক রিতী বলেন, ‘৩ মার্চ পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এই সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। যা প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঠিক ব্যবস্থা নেয়নি।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অনুষ্ঠানের বিষয়ে আগেই প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন আয়োজকরা। তাহলে কেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? দেশের বড় দুটি দল অনেক আগে থেকেই এ ধরনের ঘটনাগুলো রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করায় বারবার এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।’