প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৯:৫০ পিএম
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৯:৫৩ পিএম
বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনায় উপস্থিত অতিথিরা। প্রবা ফটো
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন মার্চে, বাংলাদেশের বেশির ভাগ ইতিহাসও রচিত হয়েছে মার্চে। ৬৬’র ছয় দফা থেকে শুরু করে ৭১’র স্বাধীনতা সংগ্রাম ও আজকের যে স্বাধীন বাংলাদেশ সবকিছুর সঙ্গেই মার্চের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিয়া রহমান প্রমুখ।
অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক অজিৎ সরকার।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন মানেই বাংলাদেশের জন্মদিন। একবার সাংবাদিক ডেবিড ফ্রস্ট বঙ্গবন্ধুর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তিনি কীভাবে এতো জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠলনে? বঙ্গবন্ধু তার উত্তরে বলেন, একমাত্র আন্দোলন। জনগণের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, অন্য একজন সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি জন্মদিন কীভাবে পালন করেন? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, আমার জন্মদিনই কি আর আমার মৃত্যু দিনই কি, এই দক্ষিণ বাংলায় জন্মদিন পালন হয় না।।
আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, তিনি কখনো জন্মদিন পালন করার মতো মানুষ ছিলেন না। সাধারণ মানুষ হিসেবে যেভাবে জন্মদিন হয় তার জন্মদিন সেভাবেই পালন করা হয়েছে, সেটা উৎসব মুখর কিছু ছিলো না।
বঙ্গবন্ধুর পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে যে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা দিয়েছেন সেটা দেখে পৃথিবীর অনেক দেশই বলেছে, এটা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের উন্নতি ঠেকানো যাবে না। আমরা বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উন্নতি করতো। কিন্তু সেটাতো ঘাতকরা সফল হতে দেয়নি। তবে তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে দেশ এখন ঠিকই এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর দর্শনই আজ বাংলাদেশকে পদ দেখাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, বাংলাদেশের ভাষা সংগ্রাম থেকে আজকের যে স্বাধীন বাংলাদেশ এর সর্বত্রই বঙ্গবন্ধু আছেন। তিনি যে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন তাকে ও তার পরিবারকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আজকে তার সুযোগ্য কন্যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশুদিবস উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বিজয়ীদের হাতে বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘আমার দেখা নয়া চীন’ বইটি তুলে দেন অতিথিরা।