প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩ ২২:২২ পিএম
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৩ ২২:২৮ পিএম
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্পদের বিচক্ষণ বরাদ্দ এবং উদ্ভাবন ও টেকসই উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মূলরক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে কৃষি। এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। শনিবার (১৮ মার্চ) এক সেমিনারে দেওয়া ভাষণে এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কার্যালয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এটির আয়োজন করে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি)। সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল ‘কোভিড পরবর্তী প্রভাব এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়’।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইসিএসবির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ। প্রধান অতিথি ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিমও সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।
ড. আতিউর রহমান বলেন, বিনিয়োগচালিত শিল্প উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় অবদান রেখেছে। বাংলাদেশ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পুনরুদ্ধারের জন্য সঠিক পথে রয়েছে। অর্থনীতি স্থিতিস্থাপকতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত। দুর্যোগ কাটিয়ে উঠার ক্ষেত্রে আমরা আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু আগামী দিনে আমাদের সতর্ক পদক্ষেপের প্রয়োজন।
আসিফ ইব্রাহিম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈশ্বিক সমস্যার প্রভাব কমাতে বহুমুখী পন্থা অবলম্বন করতে হবে। প্রথমত, সরকারকে অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন, যারা মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিমুখী শিল্পকে সরকারি সহায়তা দিতে হবে। তৃতীয়ত, কোনো একটি দেশের ওপর দেশের নির্ভরতা কমাতে বাণিজ্য সম্পর্কে বৈচিত্র্য আনতে হবে। চতুর্থত, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলোতে বিনিয়োগ করতে হবে।