× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

এইচআরএফবির দাবি

দেশে চার বছরে বিচার বহির্ভূত হত্যা ৭৯১টি

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩ ১৯:০৯ পিএম

আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩ ১৯:৪৬ পিএম

প্রবা ফটো

প্রবা ফটো

দেশে গত চার বছরে ৭৯১ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। গুম হয়েছেন ৫৬ জন। সোমবার (২০ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ন্যাশনাল কন্সালটেশন অন ড্রাফট ইউপিআর স্টেকহোল্ডার্স রিপোটর্’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন তথ্য জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।

আলোচনা সভায় আইন ও সালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, জাতিসংঘের প্রতিনিধি উমা খান, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিব দ্রং ও এইচআরএফবির সদস্য রঞ্জন কর্মকার। সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সমন্বয়ক তামান্না হক রিতি।

এইচআরএফবি জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে ৭৯১টি। এর মধ্যে ৬৮৩টি ক্রসফায়ারে হত্যা, ৪৩ জনকে গুলি করে, ৪৪ জনকে নির্যাতনে ও ২১ জনকে পুলিশ কাস্টডিতে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া এসময় ৫৬ জন মানুষ গুম হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৭ জন নিখোঁজ, ১০ জন মুক্তি পেয়েছেন ও ২৯ জনকে গ্রেপ্তার (শোউন অ্যারেস্ট) দেখানো হয়েছে।

এবারের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর) প্রতিবেদনে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর এবং ক্ষেত্রভেদে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের ১০৫টি দেশ ২৫১টি সুপারিশ করেছে। সেখানে ১৭৮টি সমর্থন ও ৭৩টি সমর্থন করেনি বাংলাদেশ। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সেকশন ৫৭ ধারা বাতিল হলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নতুন অ্যাক্ট যুক্ত হয়েছে। এতে ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। আইনটি বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়। এছাড়া নির্বাচনে নানা ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বেআইনিভাবে শক্তি ব্যবহার হচ্ছে।

সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের নয়টি মানবাধিকারের মধ্যে আটটি রেটিফাই করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৫ সালে এসডিজিতে নন গভার্নমেন্ট অর্গানাইজেশনকে (এনজিও) সম্পৃক্ত করতে আহ্বান জানানো হয়। আমরা সেভাবে কাজ করছি। মানবাধিকার কয়েকটি বিষয়ের ওপর সীমাবদ্ধ থাকে। যেসব রাষ্ট্রের দরজায় মানুষ ঘুরে তাদেরও এসব সমস্যা রয়ে গেছে। এনজিওর লেবাসে যখন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে সেটিই প্রধান।’

তিনি বলেন, ‘১৭৮টি সুপারিশ বাস্তবায়নে সমন্বয়ের অভাব আছে। পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় সাধারণত এসব কাজ করে থাকে। মানবাধিকারের বিষয়ে জাতিসংঘের ছয় জন কর্মকর্তাকে দেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তারা নিজেদের মতো কাজ করে গেছে।’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ আইন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে হলে উচ্চস্তর থেকে অনুমোদন নিতে হয়। তবে এটি বাতিল করা হবে না।’

গুম হওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জেনেভা ৭৮ জনের তালিকা দিয়েছিল সেখানে ১০ জনকে পাওয়া গেছে। ২৮ জন মানুষ এখনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বারবার অপরাধ করা ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ছাড়া কী করার আছে? বিরোধীদলের রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বাধা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে কেউ অরাজকতা তৈরি করলে সেখানে ছাড় দেওয়া হবে না।’ গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে বলে দাবি জানান মো. নূর খান। তিনি বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তাদেরকে সম্পৃক্ত করা যায়নি।’

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমেছে। এটি ইতিবাচক দিক। এর আগে র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে তাদের ব্যক্তিগত কোনো আত্ম-উপলব্ধি এসেছে-এজন্য কমেছে? আইনের রক্ষকদের যেন আইনের ভক্ষক হতে না হয়।’ তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ডিজিটাল নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। এজন্য আইনটি বাতিল করতে হবে। মানবাধিকার সংরক্ষণের জন্য আইনি কাঠামো দরকার। কেননা প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না। বরং যারা অধিকার হারাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেই কাজ করছে।’

সঞ্জিব দ্রং বলেন, ‘গরীব ও অধিকারহারা মানুষগুলো মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। পাবর্ত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে বারবার জাতিসংঘ থেকে সুপারিশ এসেছে। সব জাতি-গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ে কাজ করার সুপারিশ এসেছে এগুলো বাস্তবায়ন করা দরকার।’

ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর) হচ্ছে সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ পদ্ধতি, জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার একটি অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া। এর আওতায় জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রতি সাড়ে চার বছর পর পর পর্যালোচনা করা হয় এবং পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা