× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ছেলের বাসায় আত্মগোপনে থাকা যুদ্ধাপরাধী মমতাজ গ্রেপ্তার

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:৩১ পিএম

আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:১০ পিএম

গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মন্তাজ আলী বেপারি ওরফে মমতাজ। প্রবা ফটো

গ্রেপ্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মন্তাজ আলী বেপারি ওরফে মমতাজ। প্রবা ফটো

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডের আসামি মন্তাজ আলী বেপারি ওরফে মমতাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাজীপুরে ছেলের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। 

রবিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলি র‌্যাব-৩ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি জানান, ২০০৯ সালে মমতাজসহ পাঁচজনকে বাদী করে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মামলা হয়। পরে তিনি ২০১৬ সাল পর্যন্ত জামিনে থাকেন। এরপর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আসেন ঢাকায়। ২০১৬ সাল থেকে মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া চলাকালে তিনি কখনোই আদালতে হাজিরা দেননি। এরই মাঝে ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পাঁচজন আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।

তিনি আরও জানান, মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে তিনি নিজবাড়ি ছেড়ে গাইবান্ধা সদরে তার জামাতার বাড়িতে আত্মগোপন করেন। সেখান থেকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে তার বড় ছেলে শফিকুল ইসলামের ভাড়া বাসায় আসা যাওয়া করতেন। তার ছেলের ভাড়া বাসাটি নিজ জেলা থেকে দূরে হওয়ায় সেখানে বেশি নিরাপদ ভেবে পরে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের দিকে স্থায়ীভাবে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার চন্দ্রা এলাকায় ছেলের বাসায় বসবাস করতে শুরু করেন। সেই বাসা থেকে শনিবার রাতে র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে। 

মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের একই মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। 

১৯৭১ সালে গঠিত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষিত তালিকা মোতাবেক আসামি মমতাজ জামায়াতে ইসলামীর গাইবান্ধা সদরের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। সেই মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি আব্দুল জব্বার গাইবান্ধা সদর এলাকার শান্তি কমিটি এবং সশস্ত্র রাজাকার বাহিনীর প্রধান সংগঠক ছিলেন। জব্বারের সঙ্গে যোগসাজশে মমতাজ শান্তি কমিটির সক্রিয় সদস্য হিসেবে ওই এলাকায় লুটপাট ও বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম চালাতেন।

একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি দলকে সঙ্গে নিয়ে মমতাজ, রনজু, জব্বার, জাছিজার ও ওয়াহেদ মিলে গাইবান্ধা সদরের নান্দিনা গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালান। সেই হামলায় তারা ওই গ্রামের আবু বক্কর, তারা আকন্দ, আনছার আলী ও নছিম উদ্দিন আকন্দকে সারি বেঁধে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করেন। 

ওই সময় তাদের নেতৃত্বে একই গ্রামের সামাদ মোল্লা, শাদা মিয়া, ফরস উদ্দিন ও সেকান্দার আলী মোল্লাকে বাড়ির সামনেই গুলি করে হত্যা করা হয়। পাশাপাশি ওই দিন আসামি মমতাজের নেতৃত্বে  ৪০টিরও অধিক বাড়িঘরে লুটপাট চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। যা পরে  আদালতে প্রমাণ হয়। একই দিনে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক, ইসলাম উদ্দিন ও নবীর হোসেনসহ মোট সাতজনকে গুলি করে হত্যা করে।



শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা