× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চালকদের প্রশিক্ষণের অর্থ ছাড় না দেওয়ার অভিযোগ

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৪৯ পিএম

আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ২০:৩৮ পিএম

শুক্রবার নিসআ আয়োজিত সভায় উপস্থিত অতিথিরা। প্রবা ফটো

শুক্রবার নিসআ আয়োজিত সভায় উপস্থিত অতিথিরা। প্রবা ফটো

সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে চালকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া ভাতার টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় ছাড় দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও প্রতিশ্রুতির ৫ম বর্ষ উপলক্ষে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) আয়োজিত আলোচনা সভা ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন যৌথভাবে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেবে।

ওসমান আলী বলেন, ড্রাইভারদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি আমরা। যার প্রশিক্ষণ ভাতা দেবে বিশ্বব্যাংক। অথচ অর্থমন্ত্রণালয় সেসব টাকা পয়সা ছাড় করছে না। এ বিষয় নিয়ে বারবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় যোগাযোগ করা হলেও তারা জানিয়েছে টাকা দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। সুতরাং সেখানে যোগাযোগ করুন। কিন্তু সেখানে যোগাযোগ করে কোনো সুরাহা মেলেনি। তাদের ভাবখানা এমন, যেন তাদের বাবার টাকা আমরা চাইছি।

তিনি জাতীয়তাবাদের আন্দোলন আর শ্রেণিভিত্তিক আন্দোলন এক নয়। আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা দেখি অনেকেই হামলার শিকার হই। যারা হামলা করে তাদের কাছে প্রশ্ন, একজন ছাত্র আরেক ছাত্রের ওপর কীভাবে ঝাপিয়ে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা সব সময় চালক দায়ি নয়। অনেক সময় রাস্তার ত্রুটির কারণে, রাস্তার ওপর হাটবাজারসহ নানা কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। আর আমাদের ড্রাইভারদের সচেতন করতে কোনো চেষ্টা বা পরিকল্পনা নেই প্রশাসনের।

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের উদ্দেশ্যে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, আপনারা একবার মাত্র দেখিয়েছেন আইন সবার জন্য সমান। ওই সময়ে আপনারা ভিআইপিকে দাঁড় করিয়ে রেখে অ্যাম্বুলেন্স যেতে সহয়তা করছেন। এটাই তো হওয়া উচিৎ। আপনারা তখন সকল ড্রাইভার ও পুলিশের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স আছে কি-না, সেটা চেক করতে সমর্থ হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আমাদের আদালত, শিক্ষা ব্যবস্থা, পুলিশ ও প্রশাসনের মধ্যে পচন ধরেছে। সেখানে আপনারা এখনো পঁচে যাননি। আপনারা আমাদের কাছে সুসংগঠিত বাংলাদেশ গড়তে অনুপ্রেরণা। 

যাত্রী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল বলেন, এই আন্দোলনের কারণে আমরা একটি নতুন সড়ক আইন পেলাম। আবার এই আইন প্রণয়নের পর পরিবহনগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কারণ এখানে নাগরিক সমাজের সম্পৃক্ততা না থাকায় পুরানো আইন আর নতুন আইনের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। আপনারা যে কারণে আন্দোলন করছিলেন সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। এখনো যাত্রীরা পরিবহন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ভাড়া নৈরাজ্যসহ নানাভাবে প্রতারিত হচ্ছে।

রোড সেইফটি অ্যালায়েন্সের সাধারণ সম্পাদক নূর উন নবী বলেন, আপনাদের সংগঠন দুর্ঘটনা কমাতে কাজ করে যাচ্ছে। অথচ কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানকে দেখলাম না সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে কাজ করেছে।

২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে জরিপের তথ্য তুলে ধরে নিসআ জানায়, দেশে পরিবহন করা মোট পণ্যের ৭০ ভাগ হয় সড়ক পথে। যে কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। পরিবহনের জন্য নদী পথ ব্যবহার করা গেলে এই খরচ তিন ভাগের এক ভাগ হতো। তাই সড়ক পথকে নিরাপদ করতে যথাযথ আইনের প্রয়োগ ও যুগোপযোগী পদ্ধতি চালু করতে হবে।

পাশাপাশি সারা দেশে রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে গণপরিবহন ব্যবস্থা চালুর দাবি জানায় সংগঠনটি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা