প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৪৪ পিএম
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৩ ২০:০৫ পিএম
মৎস্য ভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। প্রবা ফটো
হালদা নদীতে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, হালদা নদী বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নদী এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র। কার্প-জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই হালদাকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এই হেরিটেজের গুণগত মান, ঐতিহ্যগত অবস্থা, সাংস্কৃতিক পরিবেশ সবকিছু বিবেচনায় রাখতে হবে।
শনিবার (১২ আগস্ট) কুমিল্লায় মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘চট্টগ্রাম বিভাগের মৎস্যসম্পদের বর্তমান অবস্থা, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় রাজধানী ঢাকার মৎস্য ভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক মো. আবদুস ছাত্তার, ব্লু ইকোনমির পরিচালক ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ শরিফুল আজম।
কর্মশালা শেষে কুমিল্লার আহমেদনগরে নবনির্মিত ৫ তলাবিশিষ্ট নান্দনিক মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
রেজাউল করিম বলেন, হালদা নদীর স্বতন্ত্র অবস্থা যেন বিনষ্ট না হয়, মাছের প্রজননক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, দূষণ না হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কোনো কিছু ক্ষতি না হয়, সে বিষয়ে কাজ করছে সরকার। হালদা নদী নিয়ে আমাদের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। শিগগিরই এটি অনুমোদন হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে হালদাকে আরও সময়োপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
মাছ রপ্তানির বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের নানা উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় বিদেশে বাংলাদেশের মাছের চাহিদা তৈরি হয়েছে। বিদেশি ক্রেতাদের নানাভাবে আকৃষ্ট করা জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই দেশে একটি ফিশ ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করা হবে, যেখানে ২০টিরও অধিক দেশের প্রতিনিধি অংশ নেবেন।