প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৮:২২ পিএম
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৮:২৭ পিএম
প্রতীকী ছবি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬৮টি স্বর্ণের বারসহ এক বিমান কর্মকর্তাকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। তার নাম শফিকুল ইসলাম। তিনি এয়ারক্রাফট মেকানিক।
রবিবার (২০ আগস্ট) রাত ১০টায় বিমানবন্দরের হ্যাংগারের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কোমরে লুকানো অবস্থায় ৬৮টি স্বর্ণেরবার পাওয়া যায়। যার ওজন ৭ কেজি ৮৮৮ গ্রাম।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের এপ্রোন সাইডে নজরদারি করছিল এয়ারপোর্ট এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের সাদা পোষাকের একটি দল। সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ বিমানের কুয়ালালামপুর থেকে ছেড়ে আসা ফ্লাইট বিজি ৩৮৩ ঢাকায় নামে। বিমানটি রাতে সাড়ে ৯টায় হ্যাংগারে নিয়ে রাখা হয়। বিমানের টেকনিশিয়ান, ক্লিনার এবং অন্যান্য স্টাফরা কাজ শেষ করে একে একে বিমান ত্যাগ করলেও বিমানটির দিকে নজর রাখা হচ্ছিল। বিমানের সকল কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর রাত ১০ টায় যখন বিমানে আর কেউ ছিল না, তখন খুব এয়ারক্রাফট মেকানিক শফিকুল ইসলামকে বোয়িং ৭৭৭ মডেলের এই উড়োজাহাজে উঠতে দেখা যায়। তার চলাচলের ধরন দেখে সন্দেহ হয়। সে নেমে আসলে তাকে আটক করে বিভিন্ন এজেন্সির উপস্থিতিতে তল্লাশী করা হয়। এসময় তার কাছে স্বর্ণের ৬৮টি বার পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল জানায়, তিনি বিমানের ডগ বক্স থেকে এই গোল্ড সংগ্রহ করেন। স্বর্ণের বারগুলো কার, কেন আনা হয়েছে এসব বিষয়ে জেরা করা হলে তিনি উদ্দেশ্যহীন বক্তব্য দেন।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ কর্মকর্তারা জানায়, অনেক দিন থেকেই শফিকুল সোনা চোরাচালানে জড়িত। তার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য থাকলেও প্রমাণের অভাবে আটক করা যাচ্ছিল না। রবিবার তাকে আটক করা হয়।
উদ্ধার স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। শফিকুল ক্যাজুয়াল স্টাফ হিসেবে বিমানে যোগদান করেন এবং ২০১৭ সালে স্থায়ী হন। তার বাড়ি খুলনা জেলার দৌলতপুরে।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার তার বিরুদ্ধে চোরাচালান প্রতিরোধ আইনে বিমান বন্দর থানায় মামলা করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।