ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ওষুধ-নীতি রাষ্ট্রের কল্যাণে অসাধারণ দলিল

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ওষুধ নীতি রাষ্ট্রের কল্যাণে অসাধারণ দলিল হিসেবে থাকবে বলে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর দৃক গ্যালারির ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ডা. জাফরুল্লাহ, জাতীয় ওষুধ নীতি ১৯৮২ ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য আন্দোলন’ শীর্ষক অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম। এ ছাড়াও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবন ও কর্মের ওপর স্মারক বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান।

অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শিরীন হক, বারিশ হাসান চৌধুরী, নগর গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা।

অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ফিল্ড হসপিটালে ডা.জাফরুল্লাহর অবদান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা, নারীদের ক্ষমতায়নে তার ভাবনা ও তার সাধারণ জীবন যাপনের কথা সহজে উঠে আসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় ওষুধ নীতি ১৯৮২ প্রণয়নে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই নীতি দেশীয় ওষুধ শিল্পকে সাবলম্বী হয়ে উঠতে সহায়তা করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে ডা. জাফরুল্লাহ সমতাভিত্তিক সমাজ তৈরির স্বপ্ন নিয়ে স্বাস্থ্য আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৮২ সালের স্বাস্থ্যনীতি ছিল মুনাফাকেন্দ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা লড়াইকে শক্তিশালী করার হাতিয়ার।’ 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষক আনু মুহাম্মদ, নারী অধিকার কর্মী ফেরদৌস আজিম প্রমুখ।