প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৫৪ পিএম
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:১৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে তুলে ধরা হয় কোরিয়ান রেড জিনসেং চা/কফিসহ বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের যৌন উত্তেজক পণ্য। কম দাম ও হোম ডেলিভারি ব্যবস্থা এবং ভুয়া উপকারভোগীদের বক্তব্য শুনে অনেকেই সেগুলো অর্ডার করতেন। অথচ কোরিয়ান কিংবা কোনো নামিদামি ব্রান্ড তো দূরে থাক, এই পণ্যগুলো তৈরি করা হতো ঘরে বসেই। পরে কোরিয়াসহ প্রচলিত বিভিন্ন ব্রান্ডের মোড়ক লাগিয়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের কাছে। এ কাজে সাধারণ চা ও কফির সঙ্গে মেশানো হতো যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটের গুঁড়া। এমনই এক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, এসব নকল চা/কফি সেবনে ক্যানসার, কিডনির রোগসহ নানা জটিলতা দেখা দেয়।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে কোরিয়ান যৌন উত্তেজক কফি/চা তৈরি করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। এজন্য তারা ‘ইওরহেল্ট.কম’ নামে ওয়েবসাইট খুলে চটকদার বিজ্ঞাপন দিত। বিজ্ঞাপনে উপকারভোগী হিসেবে বিভিন্ন মানুষের বক্তব্য তুলে ধরত তারা। কেউ পণ্য অর্ডার করলে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে বাসায় ডেলিভারি দিয়ে আসা হবে বলেও জানাত তারা। এতে আকৃষ্ট হয়ে কেউ পণ্য অর্ডার করলে তাকে এসব নকল চা/কফি পৌঁছে দেওয়া হতো। ২৫০ গ্রাম ওজনের কফির প্যাকেট চক্রটি ৯৯৯ টাকায় বিক্রি করে আসছিল। এভাবে গত কয়েক বছরে তারা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
সোমবার রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে এই চক্রের চার সদস্য রাতুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম ওরফে রায়হান, আরাফাত হোসেন সাব্বির ও আল-আমিন ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ডিবি উত্তরা বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯০০ প্যাকেট ভেজাল কফি, ২০ কেজি ভেজাল কফির গুঁড়া, ২০ কেজি ভেজাল চায়ের গুঁড়া, একটি ল্যাপটপ ও বিপুল পরিমাণ স্টিকার উদ্ধার করা হয়।
ডিবি বলছে, চক্রটি ভেজাল যৌন উত্তেজক স্প্রে ভিগা স্ট্রং, ভেজাল যৌন উত্তেজক মিশ্রিত কোরিয়ান রেড জিনসেং টি/কফি, জাজফিট পাপাইয়া কফি, জাজফিট মাকা কফি তৈরি করে বিক্রি করত।
ডিবি উত্তরা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইমরান হোসেন মোল্লা বলেন, ’যৌনশক্তিবর্ধক পানীয় হিসেবে এসব নিম্নমানের কফি/চা পান করে মানুষ রোগাক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন, এগুলো ক্যানসারের কারণও হতে পারে।’ চটকদার বিজ্ঞাপন দেখলেই কোনো পণ্য কিনে সেবন না করার পরামর্শ দেন তিনি।