প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ২২:১৩ পিএম
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ২২:২৪ পিএম
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
দেশব্যাপী সর্বোচ্চসংখ্যক সিনেমা হলে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব- একটি জাতির রূপকার’ মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।
সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকালে সিনেমা হলমালিকদের সংগঠনের নেতারা সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে ধন্যবাদ জানান। মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, ‘বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক সারা দেশে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য আমরা তথ্যমন্ত্রী ও তার মন্ত্রণালয়কে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানাই। এখনকার যে প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তারা মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, পাকিস্তানিদের অত্যাচার, রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা ও বাস্তব উপলব্ধি পাবে, সবার মাঝে আরও দেশপ্রেম জেগে উঠবে।’ সমিতির নেতাদের মধ্যে আমির হামজা, আব্দুল মতিন প্রধান, চান মিয়া, বিল্লাল হোসেন, মাসুদ পারভেজ এ সময় কথা বলেন।
স্বপ্রণোদিত হয়ে ধন্যবাদ জানাতে আসা সিনেমা হলমালিকদের স্বাগত জানিয়ে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা যে এই সিনেমা নির্মাণ সমাপ্ত করতে পেরেছি, এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ এই ছবির চিত্রনাট্য থেকে শুরু করে প্রতি ধাপে ধাপে প্রধানমন্ত্রী মনিটর করেছেন, দেখেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন। শ্যাম বেনেগাল যদি পরিচালক হন, এখানে নির্দেশক হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্ক্রিপ্ট রাইটার যদি অতুল তেওয়ারি হন, তাহলে স্ক্রিপ্ট রাইটারের প্রধান উপদেষ্টাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি একটুও বাড়িয়েও বলছি না। যেটি বাস্তব, সেটিই বলছি।’
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক সত্যিকার অর্থে ইতিহাসের একটি দলিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কীভাবে খোকা থেকে শেখ মুজিব, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হলেন সেটিও এই ছবির মধ্যে উঠে এসেছে। ভারতের পুরো টিম আগামীকাল আসছে। এই ছবি মানুষ দেখবে। এই ছবি জাতিকে নাড়া দেবে।’
‘আশা করি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে, বেগম জিয়াও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলকে বলা বিএনপির বক্তব্য সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এ কথা বারবার বলে আসছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও বলেছিল, পরে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। আমি আশা করব, এবারও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।'
তিনি বলেন, 'বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করল কি করল না, তার চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে জনগণ অংশগ্রহণ করল কি না। বিএনপি ও তার মিত্ররা যদি নির্বাচন বর্জনও করে, জনগণের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিকমানের নির্বাচন বাংলাদেশে যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়া যাতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা পান সেজন্য সরকার আন্তরিক এবং যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন সেটি করছে। দেশের সবচেয়ে ভালো একটি হাসপাতালে তার ইচ্ছা অনুযায়ী তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে এটিও বলা হয়েছে, যদি কোনো বাইরের ডাক্তারও আনার প্রয়োজন পড়ে তারা আনতে পারেন। আর বিদেশ পাঠানো সেটি আদালতে এখতিয়ার। যদি তাদের সেটাই করতে হয় তাহলে তারা আদালতে শরণাপন্ন হতে পারেন।’