প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:১৫ পিএম
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৫ পিএম
রফিকুল ইসলাম শরীফ।
রাজধানীর ভাটারায় রফিকুল ইসলাম শরীফ নামে শারীরিকভাবে অসুস্থ ও পঙ্গু এক ব্যক্তিকে জামায়াতকর্মী সন্দেহে গ্রেপ্তার ও আদালতে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রফিকুল ২০০১ সালে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন। ওই সময় তার দুটি হাত পুড়ে যায়। পরে দুটি হাতই কেটে ফেলতে হয়। তিনি এখন কারো সহযোগিতা ছাড়া কিছুই করতে পারেন না। তার বিরুদ্ধে হরতালে পিকেটিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গ্রেপ্তার রফিকের স্বজনরা অভিযোগ করেন, ২২ নভেম্বর অবরোধ চলাকালে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ভাটারার মাদানি অ্যাভিনিউতে ফজরের নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হন রফিক। সেখান থেকে জামায়াতের কর্মী সন্দেহে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন তাকে ধরে টহল পুলিশে সোপর্দ করে। ভাটারা থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আটক দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠায়।
এজাহারে রফিকের বয়স ৫৫ বছর ও তাকে জামায়াতের সক্রিয় কর্মী বলা হয়েছে। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। এজাহারে রফিকুলকে ৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মাজহারুল ইসলাম, তাবিবুর রহমান, জামাল মোল্লা, জাহেদ হোসেন, আব্দুল মালেক ও আনোয়ার হোসেন নামে আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
রফিকুল ইসলামের আইনজীবী শাকিল উদ্দিন প্রিন্স বলেন, রফিকুল ইসলামের প্রতি চরম জুলুম করা হয়েছে এবং তার মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদের ভাষা নেই। এ বিষয়ে ভাটারা থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ পিকেটিং করার সময় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার বাদী এসআই শরিফুল ইসলাম বলেন, তারা কয়েকজন মিলে হরতালের সমর্থনে পিকেটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সে সময় তাকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর তিনি ভাটারার জামায়াতের নুরেরচালা ইউনিটের কর্মী বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলায় তাকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। এখন তিনি পঙ্গু হওয়ার কারণে কতটুকু মানবিক ছাড় পাবেন তা আদালতের বিষয়।