× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বিটিআরসিতে ৩ দিনব্যাপী ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স সেমিনার শুরু

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৫ পিএম

বিটিআরসিতে ৩ দিনব্যাপী ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স সেমিনার। প্রবা ফটো

বিটিআরসিতে ৩ দিনব্যাপী ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স সেমিনার। প্রবা ফটো

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরামের (বিআইজিএফ)  যৌথ উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী ১৮তম বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভার্নেন্স ফোরাম-২০২৩ বিষয়ক সেমিনার শুরু হয়েছে। ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই সেমিনার চলবে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি ভবনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এ সেমিনার  উদ্বোধন হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব কে.এম আবদুস সালাম। 

তিনদিনব্যাপী সেমিনারে মোট ৮টি সেশনে প্রযুক্তিবিদ, গবেষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, উদ্যোক্তা, টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ উইমেন ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরামের প্রতিনিধিরা ও বিটিআরসির কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করবেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে বাংলাদেশ বর্তমানে যে অবস্থানে এসেছে তা সারা বিশ্বের জন্য রোল মডেল। 

দেশের তরুণ প্রজন্ম আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের রুপকার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তি হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মেরুদণ্ড। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ টুজি নেটওয়ার্কের যুগে প্রবেশের পর গত ২৬ বছরে দেশের প্রায় শতভাগ  এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্ক কাভারেজের আওতায় এসেছে। বিটিআরসি কর্তৃক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য ‘এক দেশ এক রেট’ সেবা চালু হওয়ার কারণে শহর ও গ্রামের মধ্যে ইন্টারনেটের দামের বৈষম্য হ্রাস পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,  স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে হলে প্রতিটি নাগরিককে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।

শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, টেলিযোগাযোগ ও  তথ্য প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে গবেষণা ও উন্নয়নে (R&D) পিছিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণের পাশাপাশি সকলের জন্য স্মার্ট ডিভাইসের সহজলভ্যতাও নিশ্চিত করতে হবে। 

মানুষের  দৈনন্দিন জীবনধারায় ইন্টারনেট অপরিহার্য হয়ে উঠেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তি  ও টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নে বিটিআরসি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।  

কে.এম আবদুস সালাম বলেন, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত ডিজিটাল বাংলাদেশের যে যাত্রা শুরু হয়, তার সুফল দেশের সকল মানুষের নিকট পৌঁছে গেছে। 

গত ১০ বছরে ডিজিটাল খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যে রুপকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তা যথাসময়ে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।  

বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আ.হ.ম বজলুর রহমানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরামের (বিআইজিএফ) মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হক অনু, মতামতভিত্তিক নিউজ পোর্টাল ভিউস বাংলাদেশের সম্পাদক রাশেদ মেহেদী, এশিয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটর’স বাংলাদেশের মহাসচিব লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার । 

সেমিনারের ১ম দিনে ‘Internet becomes a human right in Smart Bangladesh’ এবং ‘The internet we want empowering all people in Bangladesh’ শীর্ষক দুটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেশনে বক্তব্য প্রদান করেন বিটিআরসি’র লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন , বিটিআরসি’র সিস্টেমস্ অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. খলিল-উর-রহমান, দৈনিক আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মইনুল আলম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খায়ের মাহমুদ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শাহ আলম চৌধুরী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. জুলকারিন জাহাঙ্গীর, আর্টিকেল-১৯ দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মিস রুমকী ফারহানা । 

আলোচনায় বক্তারা বলেন, দেশের সব মানুষকে কানেক্টিভিটির আওতায় নিয়ে আসতে এবং ডিজিটাল রুপান্তরের সুফল জনগণের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দিতে দেশের অধিকাংশ উপজেলাকে উচ্চগতির ফাইবার অপটিক ক্যাবলের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। আলোচনায় নেটওয়ার্ক কাভারেজ, নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ইন্টারনেট, স্মার্ট ডিভাইস এবং ডাটামূল্যের সহজলভ্যতা, ডিজিটাল অবকাঠামো বিনির্মাণের ওপর গুরুত্বরোপ করেন বক্তারা। টেকসই ইন্টারনেট সুবিধা, ইন্টারনেটের অর্থবহ ব্যবহার এবং এ খাতে গবেষণা অত্যন্ত জরুরি বলেও মতামত প্রদান করেন তারা।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা