প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:৩৫ এএম
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৫৭ এএম
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ। প্রবা ফটো
বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আগুন দেওয়া হয় নেত্রকোণা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে। এতে চারজন নিহত হয়। তার মধ্যে ছিল ছোট্ট শিশু ইয়াসিন, যাকে বাঁচাতে শেষ চেষ্টা করেছিলেন মা নাদিরা আক্তার পপি। সন্তানকে বুকে আগলে ধরেই আগুনে পুড়ে যান। লাশ উদ্ধারের সময় মায়ের কোলেই ছিল ইয়াসিন। উদ্ধারের সময় এমন দৃশ্য নাড়া দেয় সবাইকেই। ট্রেনে অগ্নিসন্ত্রাসের কবলে প্রাণ হারানো এই ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ‘নাশকতার বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ সকল স্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে কমলাপুর রেলস্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ক্যাম্পেইন অ্যাডভোকেসি প্রোগ্রাম (ক্যাপ)-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে নিহতদের শ্রদ্ধা জানায়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মোমবাতি হাতে সমবেত কণ্ঠে সবাই গেয়ে ওঠে ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে, এ জীবন পুণ্য করো দহন-দানে’। এরপর নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
শ্রদ্ধা জানাতে আসা ব্যক্তিরা জানান, ট্রেনের মতো নিরাপদ বাহনে যারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। আর যেন কোনো শিশু কিংবা কোনো প্রাণ নাশকতার আগুনে পুড়ে মারা না যায়। অগ্নিসন্ত্রাসীদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা কোনোভাবেই রাজনীতির অংশ হতে পারে না।
অনুষ্ঠানে আসা শিশু একাডেমির অবন্তি বলে, ‘আমরা শিশু একাডেমির আবৃত্তি শাখা থেকে ২০ বন্ধু আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।’