রাজধানীতে ৭ দিন পর সকালে সূর্যের দেখা মিলল

সাত দিন পর সূর্যের দেখা পেল রাজধানীবাসী। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে রাজধানীতে সূর্যের দেখা মেলে। এতে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরের দিকেও রাজধানীতে সূর্যের দেখা মিলেছিল। 

গত শুক্রবার থেকে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে নাকাল হয়ে পড়ে রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ। উত্তরাঞ্চলের জনপদ দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে দেশের ৪ বিভাগে। তা ছাড়া কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় যুক্ত হওয়া শীতে কাবু হয়ে পড়ে সব বিভাগের মানুষ।

আজ শুক্রবার সকালে কুয়াশার চাদর ভেদ করে উঁকি দেয় সূর্যমামা। সূর্যের তেজ পেয়ে অনেকেই বাসার ছাদে উঠে রোদ পোহাতে শুরু করেন। 

বৃষ্টি পেয়ে শীত থেকে স্বস্তি

গত বুধবার থেকে খুলনায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার তা  ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে। তীব্র শীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে নেমে গেলে দেশে প্রথমবারের মতো পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। 

এর আগে গত সোমবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) আবহাওয়াবিদ  মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছিলেন, বৃষ্টি পড়লে কুয়াশা কেটে যাবে। কুয়াশার কেটে গেলে শীতের তীব্রতাও কমবে। গতকাল রাজধানীতে সামান্য বৃষ্টি হলেও ঢাকা বিভাগের কয়েকটি জেলায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। তা ছাড়া মঙ্গলবার দুপুরে ও গতকাল দুপুরে রোদের কিছুটা দেখা মিলে রাজধানীতে।

এদিকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে। আর রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আজ মধ্যরাত থেকে আগামীকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।