প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১৬ পিএম
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:০৮ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাসহ দুজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনেও আওতায় আনার জোর দাবিসহ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (শনিবার) এ ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ও বহিরাগত যুবক মামুন (৪৫)। গণমাধ্যমসূত্রে আরো জানা গেছে, মোস্তাফিজ মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক–বিষয়ক সম্পাদক।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুক্তভোগীর বক্তব্য অনুযায়ী, অভিযুক্তরা তার স্বামীকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের একটি কক্ষে আটকে রেখে তাকে হল সংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন।
বিবিৃতিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে, অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে যাদের রুখে দাঁড়ানোর কথা, প্রতিবাদ করার কথা সেই যুবশক্তি বা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে এবং নিজেরাই ধর্ষক হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। যা আমাদের কে নতুন শঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আসক মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নারীর সাথে এই ধরনের ঘটনা আমাদের সকল চিন্তা চেতনাকে তাড়িত করে। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটে এবং এ ধরনের ঘটনায় অচেনা দুর্বৃত্ত নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যখন জড়িত বলে অভিযোগ উঠে তখন আমাদের অবাক হতে হয়। আসক পাশাপাশি মনে করে, অভিযোগটি যথাযথ গুরুত্বের সাথে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে নিরপেক্ষভাবে তদন্তসাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। তাই আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানাচ্ছে।