প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:০৫ পিএম
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:০৫ পিএম
প্রাণিসম্পদখাতের উন্নয়নে কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছায় তথ্য দিতে হবে বলে আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু দেশের উন্নতি করাই সবার উদ্দেশ্য সেজন্য সততার সঙ্গে কাজ করতে কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছায় তথ্য দিতে হবে। তথ্যের অবাধ প্রবাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী তথ্য অধিকার কমিশন গঠন করেছেন। আর যারা (সাংবাদিকরা) তথ্য নিবেন তারাও সদিচ্ছা নিয়ে কাজ করবে। কেননা আমরা সবাই মিলেই এখাতটির উন্নতি করতে পারি।’
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ খাত: সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যৌথভাবে প্রশিক্ষণটির আয়োজন করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, পরিপ্রেক্ষিত, বিশ্বব্যাংক, সাহসী, সন্ধানী ও সমকালীন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম, দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী, টিভি টুডে’র এডিটর ইন চিফ মনজুরুল আহসান বুলবুল, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রনব সাহা, পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর ও দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র রিপোর্টার মুন্না রায়হান প্রমুখ।==
আব্দুর রহমান বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি গণমুখী মন্ত্রণালয়। এটি গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে জড়িত। সবাই মিলে খাতটি সমৃদ্ধ করতে পারলে বিবেকের কাছে প্রশান্তি পাব। এখাতকে সময়োপযুগী, আধুনিকায়ন ও নিরাপদ করার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকও কাজ করছে। কীভাবে দুধ, ডিম ও মাংসের উৎপাদন বাড়ানো যায় সে বিষয়ে চিন্তা করতে হবে।’
মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘তথ্যের অবাধ প্রবাহ না থাকলে তখন গুজব ছড়ায়। এজন্য সঠিক তথ্য দিতে হবে। প্রাণিসম্পদখাত একটি পরিবারকে সমৃদ্ধ করতে পারে। সাংবাদিকরা যে রিপোর্ট করবে তার আলোকে মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব বলর আমরা প্রত্যাশা করি।’
গোলাম রব্বানী বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে পারিবারিক খামার থেকে বাণিজ্যিক খামার তৈরি করা। গবাদি পশু না বাড়িয়ে বরং উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো।’